প্রস্তুত লাল সবুজের গালিচার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সাত স্তম্ভের স্মৃতিসৌধ। মাত্র কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হবে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদী।তাই প্রস্তুতির কোন ঘাটতি রাখেনি সাভার গণপূর্ত বিভাগ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
করোনার কারণে এ বছর মার্চ মাস থেকে বন্ধ রয়েছে স্মৃতিসৌধ। বাতিল করা হয়েছিল ২৬ মার্চের সব কার্যক্রম। দীর্ঘদিন পরে বিজয় উদযাপনে ফের খুলে দেওয়া হচ্ছে স্মৃতিসৌধ। তবে সামাজিক দূরত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ সতর্ক থাকবে বলে জানিয়েছে।
দিবসটির প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের উদ্দেশে বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট জনেরা। এরপর খুলে দেওয়া হবে সর্বস্তরের মানুষের জন্য। বিজয় উদযাপনে প্রতি বছরের মতো এবারও সেজে উঠেছে স্মৃতিসৌধ।
পুরো সৌধ প্রাঙ্গণকে ধুয়ে মুছে এরইমধ্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বর্ণিল ফুলের চারা রোপণ ও রঙ তুলির আঁচরে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো সৌধ চত্বর। লাল, নীল, হলুদ বাতির ঝলকানিতে রাতের আকাশেও জানান দিচ্ছে বিজয়ের স্বাদ। এছাড়া, নিরাপত্তার জন্য সৌধ এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌধ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে গত ১৫ দিন ধরেই পুরো সৌধ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করছেন গণপূর্ত বিভাগের ৬৫ জনসহ বাইরের প্রায় আরও ৫০ জন কর্মচারী। সৌধ স্তম্ভসহ পুরো এলাকা ধুয়ে ফেলার পর শহীদ বেদী থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত পায়ে হাঁটার লাল ইটের হেরিংবন্ড পথকে লাল ও সাদা রঙের আঁচরে আরও দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। এছাড়া, প্রতি বছরের মতো সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে রোপন করা হয়েছে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ বাহারী ফুল গাছের চারা। লেকের বাড়তি জলজ উদ্ভিদ পরিষ্কার করে লাগানো হয়েছে লাল পদ্ম। এছাড়া, পুরো এলাকায় শোভা বর্ধনে গাছ ও ঘাস ছেঁটে ফেলাসহ আলোকবাতি স্থাপনের কাজও এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘জাতীয় স্মৃতিসৌধে আগত সবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার জন্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’