ঢাকা : বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ। আর রাজধানীরগুলোর মধ্যে দিল্লির পরই এখন ঢাকার অবস্থান। আইকিউএয়ার-এয়ারভিজ্যুয়াল ও গ্রিনপিসের এক যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে আসে।
সরকারের সদিচ্ছা ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা ছাড়া বায়ু দূষণ কখনোই রোধ করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
পরিবেশ দূষণ বাংলাদেশিদের কাছে নতুন কিছু নয়। ইটের ভাটা, ট্যানারির বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, যেখানে সেখানে গৃহস্থালির বর্জ্য, যানবাহনের ধোঁয়াসহ নানা কারণে দূষণ এখন বিপর্যয়ের রূপ নিয়েছে।
মঙ্গলবার ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী দূষণের মাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে `আইকিউএয়ার, এয়ার ভিজ্যুয়াল অ্যান্ড গ্রিনপিস` নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।
গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাতাসে `পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ` নামে এক ধরণের সূক্ষ্ম কণার উপস্থিতির গড় মাত্রা ৯৭ দশমিক ১ শতাংশ। যার ফলে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় এখন শীর্ষে বাংলাদেশ। এরপরই রয়েছে পাকিস্তান ও ভারতের নাম। এই সূক্ষ্ম কণার কারণে মানুষের ফুসফুস, হৃদযন্ত্র এবং রক্তপ্রবাহে নানা ধরনের রোগ সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমনকি ক্যান্সার কিংবা হার্ট অ্যাটাকও হয়ে থাকতে পারে - এমনটাই বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে ।
আইনের যথাযথ প্রয়োগ, সরকারের সদিচ্ছা ও সাধারণ মানুষের সচেতনতা ছাড়া বায়ু দূষণ কখনোই রোধ করা সম্ভব না বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে এক বছরেই পরিবেশ দূষণে মারা যায় ৮০ হাজার মানুষ। দেশে প্রতি বছর যত মানুষের মৃত্যু হয় তার ২৮ ভাগই পরিবেশ দূষণজনিত রোগে। সারা বিশ্বে এই হার মাত্র ১৬ শতাংশ।