ঢাকা: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৬ বছরের শিশুকে গলা কেটে হত্যা মামলায় গ্রেফতার আবরাবুল হক (১৯) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শিশু সোহেলকে জবাই করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেয় সে।
ঘাতক আবরাবুল হক গোয়াইনঘাট থানার ফেনাইকোনা গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হিল্লোল রায় বলেন, শুক্রবার শিশু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আবরাবুল হক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালতে আবরাবুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে হিল্লোল রায় বলেন, ঘটনার কিছু দিন আগে আবরাবুল তার প্রেমিকাকে নিয়ে জাফলং যায়। চা-বাগানে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় লোকজন আটক করে। সে সময় তাদের অভিভাবকদের খবর দেয়া হয়। তখন নিহত শিশু সাহেলের পিতা সোয়াব আলী কালা মিয়াসহ লোকজন গিয়ে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে আসেন।
এ নিয়ে কালা মিয়া আসামি আবরাবুল হককে শাসন ও গালাগালি করে। এ ছাড়াও আবরাবুলের বাবা-মা ও ভাইদের তাকে (আবরাবুল) শাসন করতে বলেন। এর ফলে আবরাবুলকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার পরিবার। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত আবরাবুল কালা মিয়াকে ‘শিক্ষা দেয়ার’ জন্য তার ছয় বছরের শিশু সন্তানকে গত ৬ ফেব্রুয়ারি গলা কেটে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয়।
হিল্লোল রায় আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে খুনি আবরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।