অভিনেতা ও ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ফারুকের জ্ঞান ফিরেছে। তিনি এখন মোটামুটি ভালো আছেন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে আগের চেয়ে। তিনি এখন হাত-পা নাড়ছেন।
ফারুকের ছেলে রওশন হোসেন পাঠান আজ সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘বাবা এখন হাত-পা নাড়তে পারছেন। খুব বেশি না হলেও তার উন্নতি মোটামুটি হয়েছে।’
তবে ফারুক স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না। রওশন হোসেন পাঠান জানান, তার বাবা এখনও সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। তাকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। ড. লাই চুংয়ের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। গত বছরের ১৫ নভেম্বর ফারুকের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এ কারণে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
নিয়মিত চেকআপের জন্য গত মাসের প্রথম সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যান ফারুক। চেকআপের মধ্যেই শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় ১৩ মার্চ থেকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। এর দুই দিন পর খিঁচুনি ওঠায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৮ মার্চ কেবিনে ফিরে আসেন তিনি। ২১ মার্চ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দ্বিতীয় দফায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার রক্তে সংক্রমণের পাশাপাশি পাকস্থলিতে রক্তক্ষরণ হয়েছে।