ঢাকা : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে একটি নির্বাচনী গাড়িতে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া সুযোগ থাকলে তাদের ইসিতে চাকরি দেয়া হবে বলে জানায় ইসি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এসব ঘোষণা দেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান।
সিইসি বলেন, বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়া তাদের পরিবারের কেউ যদি চাকরিযোগ্য থাকে এবং নির্বাচন কমিশনে যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাদের চাকরি দেয়া হবে।
নুরুল হুদা বলেন, পাহাড়ের ওপর থেকে দুষ্কৃতিকারীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যসহ সাতজন নিহত হয় এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। এই নৃশংস ও বর্বর হামলায় নির্বাচন কমিশন মর্মাহত।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিইসি বলেন, এই ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে কমিশন তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এবং অন্যদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, না। এখনও তদন্তাধীন আছে। এখনও সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এগুলো চোরাগুপ্তা হামলা। এ জাতীয় ঘটনা ঘটবে এটা তো কেউ আশঙ্কা করে না। সতর্কতা হিসেবে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি। যার ফলে সারাদিন নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। যদিও তারা কোথাও কোথাও অপচেষ্টা চালিয়েছিল। সার্বক্ষণিক টহলের কারণে তারা নির্বাচনে ব্যাহত করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে এত বড় পাহাড়ি অঞ্চলে কোথায়, কীভাবে এ জাতীয় আক্রমণ হয় এটা অ্যাসেস করা এবং পিঙ্ক আউট করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এ রকম হামলা স্থায়ী হয় না। এক মিনিট বা দুই মিনিট হামলা করে তারা চলে যায়। এক দেড় মিনিটের মধ্যে একটা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে আবার কাউন্টার অ্যাটাক করা সম্ভব নয়। হামলার পর বিজিবির যে গাড়ি ছিল তারা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করা, আহতদের ওখান থেকে সরিয়ে নেয়া, আমাদের খবর দেয়া, হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা- এসকল কাজ তারা করেছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তারা কেউ যে গাফিলতি করেছে তা নয়।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ভোটাররা আসবে কি আসবে না সেটা প্রার্থীদের দায়িত্ব। আর যারা ভোট দিতে আসবে তারা ভোট দেবে, যারা আসবে না তারা দেবে না। এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।