ছবি: সংগৃহীত
বিটিভির মতো বাংলাদেশের বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও ভারতে দেখানোর ব্যাপারে চ্যানেল অপারেটরদের ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কলকাতায় সফররত মন্ত্রী স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারত সরকার এবার সমগ্র ভারতে আমাদের বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখানো শুরু করেছে। এতে আমরা খুশি। তবে ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অপারেটররা বাংলাদেশি চ্যানেল দেখাচ্ছেন না। একেকটি বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানোর জন্য পাঁচ কোটি রুপি দাবি করছেন। এটা কি সম্ভব? ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানো না হলেও বাংলাদেশে ভারতের চ্যানেল দেখানো হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ভারতের বেসরকারি চ্যানেলের অপারেটরদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। এখন বিশ্বের আকাশ অবারিত। মানুষকে তো আর আটকে রাখা যাচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিয়েছে আকাশ।
কলকাতায় ‘ইন্দো-বাংলা সামিট ২০১৯’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিকলকাতায় ‘ইন্দো-বাংলা সামিট ২০১৯’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: ভাস্কর মুখার্জিভারতের বেসরকারি চ্যানেলের অপারেটরদের বাংলাদেশের সব চ্যানেল দেখানোর কথা ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের কলকাতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এখন পুরো বিশ্বে আকাশ অবারিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মানুষের জন্য খুলে দিয়েছে সেই আকাশ।
ইন্দো-বাংলা কাউন্সিল ফর কমার্শিয়াল, কালচারাল, এডুকেশনাল কো-অপারেশন আয়োজিত ‘ইন্দো-বাংলা সামিট ২০১৯’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার উপশহর নিউ টাউনের রবীন্দ্রতীর্থ মিলনায়তনে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এই সংগঠন যাত্রা শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারত সরকার এবার সমগ্র ভারতে আমাদের বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখানো শুরু করেছে। এতে আমরা খুশি। তবে ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অপারেটররা বাংলাদেশি চ্যানেল দেখাচ্ছেন না। একেকটি বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানোর জন্য পাঁচ কোটি রুপি দাবি করছেন। এটা কি সম্ভব? ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল দেখানো না হলেও বাংলাদেশে ভারতের চ্যানেল দেখানো হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ভারতের বেসরকারি চ্যানেলের অপারেটরদের বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিত। এখন বিশ্বের আকাশ অবারিত। মানুষকে তো আর আটকে রাখা যাচ্ছে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিয়েছে আকাশ।
শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনে অবস্থিত ‘রবীন্দ্র তীর্থ’ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইন্দো-বাংলা সামিট-২০১৯’-এ প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ইন্দো-বাংলা কাউন্সিল ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড কালচারাল কোলাবরেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ হাজার বছরের পুরনো। আমাদের এক জাতি, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি একই। বাংলাভাষা পৃথিবীর অন্যতম মাধুর্যময় ভাষা। সমগ্র পৃথিবীতে এক সময় এ অবিভক্ত ভারতের যৌথ বাংলাই ছিলো ধনী।’
‘পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। সেই বিপ্লব জোর দিয়েছে ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজির ওপর। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগ আজকে বাস্তবায়নের দিকে। ভারতে একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে’-যোগ করেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী।
শিক্ষা ক্ষেত্রে চিরবন্ধুপ্রতীম বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি নিজেদেরকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। শিক্ষা কখনোই বেড়াজাল মানে না। বাস্তবে শিক্ষা আদান-প্রদানে দুই দেশ আরও উন্নত হতে পারে। এর সঙ্গে আরো বাড়াতে হবে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে এককভাবে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ অঞ্চল উন্নত হলে বাংলাদেশ-ভারত উন্নত হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসান, ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বনমালী ভৌমিক প্রমুখ। এদিকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আজ শনিবার দুপুরে কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবাহী বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকক্ষে যাবেন। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে মাল্যদান করবেন। বিকেলে তিনি কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
সেখান থেকে তিনি কলকাতার আইসিসিআরের বেঙ্গল গ্যালারিতে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ঘিরে তিন দিনব্যাপী এই চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উপ হাই কমিশন।