Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

বাংলাদেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রিন্ট:

বাংলাদেশেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের শঙ্কা

একবার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় আবার হিমশিম খাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।

বাংলাদেশে এখন সংক্রমণের চিত্র প্রায় স্থিতিশীল হলেও ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের মতো সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরী পরামর্শক কমিটি।

রোববার রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই শঙ্কার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর জোর দেওয়া হয়।

এদিন সকালে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শীতে পরিস্থিতির অবনতির ঘটবে ধরে নিয়ে এখন থেকেই প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশে গত একদিনে ১ হাজার ৫৪৪ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত কিছু দিন ধরেই এই সংখ্যাটি দেড় থেকে দুই হাজারের মধ্যে থাকছে। দেশে সর্বাধিক ৪ হাজার ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২ জুলাই।

প্রাদুর্ভাবের সাড়ে ৬ মাস পর দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯১৬ জনে, যা নিয়ে বিশ্বে পঞ্চদশ অবস্থানে বাংলাদেশ। মারা গেছে ৪ হাজার ৯৩৯ জন।

শুরুতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর কড়াকড়ি ও জনসচেতনতা দুটোই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু যতই দিন গড়াচ্ছে, ততই মানুষের উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে।

রোববার নিজেদের বৈঠকের পর পরামর্শক কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে, এটি হতেই থাকবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জনগণের মধ্যে শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে।

“এসব কারণে আমাদের দেশেও পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণ হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণ প্রস্তুতি রাখতে হবে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও ‘স্বস্তির’ জায়গায় পৌঁছেনি। কোভিড চিকিৎসায় নিবেদিত কিছু হাসপাতালে শয্যা খালি থাকছে। অন্যদিকে অন্য রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

এ অবস্থায় অন্যান্য রোগের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা, অর্থ সাশ্রয় করতে কোভিড-১৯ হাসপাতালের অব্যবহৃত শয্যা সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তবে দেশে এখনও আইসোলেশন কেন্দ্রের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।

“তাই শয্যা সংখ্যা সংকোচন করা হলেও পুরোপুরি বন্ধ করা ঠিক হবে না। ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যাতে পুনরায় এসব আইসোলেশন সেন্টার ব্যবহার করা যায়, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।”

দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই করণীয় বিষয় ঠিক করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি।

দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয়ের জন্য আরও বেশি পরিমাণে পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।

“এ অবস্থায় কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সংক্রমিত ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইসোলেট করতে হবে।”

বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীর দেশে আসছে জানিয়ে ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ ও নিয়ম জারী করার তাগিদ দিয়েছে জাতীয় পরামর্শক কমিটি। সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে ঢোকার স্থানগুলোতে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

“বিদেশ ফেরতদের স্ক্রিনিং, প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারিন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে করোনাট্রেসার অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।”

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer