ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা: খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষিপ্রধান বাংলাদেশকে লড়তে হয়েছে বহু যুগ। কৃষক-সম্প্রসারণকর্মী ও কৃষিবিদদের সম্মিলিত প্রয়াসে ‘দুর্ভিক্ষের দেশ’ থেকে উত্তরণের পরও নতুন চ্যালেঞ্জ ভাবাচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান ও গম উৎপাদনে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন চ্যালেঞ্জ ‘ব্লাস্ট’ নামক নতুন ব্যাধি।
দেশের খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে নতুন এই ‘সম্ভাব্য মহামারি’ মোকাবেলায় সরকার ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রচেষ্টার সঙ্গে এবার যুক্ত হলেন বিশ্বের খ্যাতিমান দুই বিজ্ঞানী। দেশের গবেষকদের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় ‘ব্লাষ্ট’ প্রতিরোধে ৬ দিনের সফরে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসেছেন ব্রিটিশ রয়েল সোসাইটির ফেলো অধ্যাপক সোফিয়েন কামাউন ও অধ্যাপক নিকোলাস জে ট্যালবট।
বাংলাদেশের সালনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে আসা এই দুই গবেষক বর্তমানে যশোর ও মেহেরপুরের অতিমাত্রায় ব্লাস্টের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করছেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্বখ্যাত এই দুই গবেষক কথা বলেছেন স্থানীয় কৃষক ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকদের সঙ্গে। ইন্টারন্যাশনাল মেইজ এন্ড হুইট ইমপ্রুভমেন্ট সেন্টার (CIMMYT)এর গবেষকদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা।
ব্লাস্টের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ার পূর্বেই এর প্রতিরোধে প্রতিরোধী জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা। ব্রিটিশ বায়োটেকনোলজি কাউন্সিল এর অর্থায়নে চলমান গবেষণা প্রকল্পে সংশ্লিস্ট এই গবেষকরা সফরকালে এক কর্মশালায়ও অংশ নেবেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় এই কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের অভিজ্ঞতা শুনবেন ব্রিটিশ রয়েল সোসাইটির এই দুই ফেলো। বিশ্বের প্রতিনিধিত্বশীল এই দুই গবেষকের সঙ্গে দেশের গবেষকদের মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে দ্রুত ব্লাস্ট সংকট থেকে উত্তরণ ঘটবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গমের ব্লাস্ট রোগের মহামারি ঠেকাতে সতর্কতা
বহুমাত্রিক.কম