ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈকত হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বহিরাগতদের দ্বারা মারধরের শিকার হয়ে আহত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড়ের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন ওই হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মকান্ড তুলে নেন।
আহত ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) মাঠে ফুটবল খেলা চলছিল। তখন সেখানে এক অটোচলকও খেলা দেখছিলেন। সে সময় সৈকত অটোচালককে ভিসির বাসভবনের সামনে যাওয়ার কথা বললে অটোচালক যেতে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে অটোচালকের সাথে বাক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সৈকত। এ ঘটনায় অটোচালক খেলা দেখতে আসা দর্শকদের কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে এসে সৈকতকে মারধর শুরু করে। সেখানে উপস্থিত থাকা সৈকতের বন্ধু ফাহিম, আবদুল্লাহ, মিজু ও রাজু আহত সৈকতকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড়ের রাস্তা অবরোধ করেন ওই হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা একটি পিকাপের গ্লাস ভাঙচুর করেন। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হকসহ আরও অনেকে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক বলেন, আমরা সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পুলিশের কাছে দিয়েছি। পুলিশ খুব দ্রুতই দোষীদের ধরার চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
বহুমাত্রিক.কম