দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫৫ গাড়ি ক্রোক করতে বলা হয়। সিআইডির করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
গাড়ির মধ্যে রয়েছে- বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, এবং ১৮৮টি ব্যাংক হিসাবের ৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছরের ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে এ বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এছাড়া, মাদক ব্যবসা ও ভুমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়িরও মালিক হয়েছেন। এছাড়া বিপুল পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।
রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সে হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এ দুই ভাই। এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এ দুই ভাই অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
গত বছরের ৭ জুন রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার শহরের গোয়ালচামট মোল্লা বাড়ি সড়কে হামলার মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাজ্জাদ হোসেন, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসানসহ নয়জনকে গ্রেফতার করে।