ঢাকা : বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ তিনটি ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন। ভাষাগুলো হচ্ছে ওয়েলশ, স্কটিশ ও আইরিশ।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম শনিবার লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মাচের্র ঐতিহাসিক ভাষণ অনুবাদের ব্যাপারে যথাযথ নিয়ম ও পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘এই নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করেই ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ওই তিনটি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটি মুজিববর্ষের মধ্যেই অনুবাদ করা হবে।’
সাইদা মুনা তাসনীম ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মূলত বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র ও মুক্তির সনদ।
তিনি উল্লেখ করেন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এই ভাষণের শ্রেষ্ঠত্ব ও গুরুত্ব আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে । হাইকমিশনার বলেন, আজ হতে শতবর্ষ পরেও এ ভাষণ সব দেশের সকল নিপীড়িত ও স্বাধিকারকামী মানুষের মুক্তির দিক-নির্দেশনা দিবে।
সোমবার ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়, সাইদা মুনা ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করার আশা প্রকাশ করেছেন। এই স্বপ্নসহ বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকসহ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে প্রদত্ত্ব রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।
এছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতা থেকে নির্বাচিত কয়েকটি কবিতা আবৃত্তি করেন প্রখ্যাত কয়েকজন আবৃত্তিকার। ব্রিটিশ-বাংলাদেশি তরুণদের অনেকেই ৭ মার্চের ভাষণের তথ্যচিত্রসহ সমগ্র অনুষ্ঠানটি আগ্রহভরে উপভোগ করেন।