ছবি: বহুমাত্রিক.কম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, `জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। সেই মুক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত বাসস্থান থাকবে না, এটা হতে পারে না। তাই আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সারাদেশে ১৪ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।`
শনিবার বিকালে যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের `উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্প` হতে প্রায় ২ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য সারাদেশের যেসব স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়েছে, বধ্যভূমি রয়েছে সেসব স্থান সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা গত ৫ বছরে ৩ হাজার হতে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বোনাসসহ সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে`। সামনের বছরে ভাতা আরও বৃদ্ধি করা হবে মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন শুধুমাত্র একটি পতাকা, একটি ভূখন্ড বা একটি জাতীয় সংগীত নয়। অর্থনৈতিক মুক্তি না আসলে শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। এজন্য বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বেই আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সোনার বাংলায় রুপান্তর করবো।’
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আহসান উল্লাহ শরিফী এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রাজেক আহমেদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এর আগে মন্ত্রী যশোর সদর উপজেলার এম এন মিত্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন।
