বগুড়া : বগুড়া সদরের পীরগাছা এএফ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে গরুর গোশতের খিচুড়ি সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের দাবি, খাসির গোশত দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছিল। ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ ঘটনায় এক ছাত্রীর বাবা শিশু চন্দ্র সরকার সদর থানায় মামলা করলে ১ অক্টোবর দুপুরে প্রধান শিক্ষককে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার ২ অক্টোবর অভিযোগে পড়ে জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মা সমাবেশের আয়োজন করেন। ওই অনুষ্ঠানে সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিদের আপ্যায়নে ছিল সাদা ভাত, গোশত ও মাছ। এছাড়া ছাত্রীদের জন্য ৩০০ প্যাকেট খিচুড়ির ব্যবস্থা ছিল। দুপুরে ওই খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। এ সময় ৬০-৬৫ জন হিন্দু ছাত্রীকেও খিচুড়ি দেওয়া হয়। পরদিন রবিবার সকাল থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, হিন্দু ছাত্রীদের গরুর গোশতের খিচুড়ি দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঘটনার প্রতিবাদ এবং প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে তারা মানববন্ধনও করে। পরে উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নানকে আটক করে। খবর পেয়ে বেলা ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে প্রধান শিক্ষককে আটক করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিয়া জানান, গত রবিবার রাতে এক ছাত্রীর বাবা প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে মামলা করে। পরে সোমবার ১ অক্টোবর দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, খিচুড়িতে গরুর গোশত ছিল কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
বহুমাত্রিক.কম