ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানান, লকডাউনের মধ্যে মানুষ জরুরি প্রয়োজন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। রেস্তোরাঁ ও পানশালার মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া স্কুল ও বিভিন্ন কারখানা খোলা থাকবে।
ফ্রান্সের নতুন বিধি-নিষেধের মধ্যে রয়েছে, কর্মক্ষেত্র, স্কুল, চিকিৎসাসংক্রান্ত কাজ ও এক ঘণ্টা শরীরচর্চা করার জন্য বাইরে বের হওয়া যাবে, বাইরে বের হলে অবশ্যই অনুমতিপত্র দেখাতে হবে, এক অঞ্চলের মানুষ আরেক অঞ্চলে যেতে পারবে না, পানশালা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, সুযোগ থাকলে অবশ্যই ঘরে বসে কাজ করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত ক্লাস অনলাইনে করতে হবে, আন্তর্জাতিক সীমানা বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়াও বলা হয়েছে, স্কুল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, বেশিরভাগ সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত কাজ চলবে, খামার কারখানা ও নির্মাণকাজ চলমান থাকবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমানাগুলো খোলা থাকবে, বাইরের দেশে ভ্রমণে থাকা ফ্রান্সের নাগরিকরা ফিরতে পারবেন এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্যক্রম চলবে।
লকডাউন ঘোষণার সময় ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা দেখে আমরা অবাক হয়েছি। এটি একটি কঠিন সময়। আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই অগ্নিপরীক্ষা কাটিয়ে ওঠার জন্য নিজেদের প্রতি, আপনাদের প্রতি, আমাদের সামর্থ্যের প্রতি আমার ভরসা রয়েছে।’