যশোর : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরে অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষার খাতা পুনর্মূল্যায়নের ৮৭ জনের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৬ জন আর অকৃতকার্য থেকে কৃতকার্য হয়েছে ৩০ জন শিক্ষার্থী। অন্যান্যদের পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন গ্রেডে।
একেবারেই ফেল করা শিক্ষার্থীরা জিপিএ ৫ পাওয়ার পরীক্ষকের দক্ষতার দায়িত্বত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, শুক্রবার পূর্ণ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এইচএসসি পরীক্ষার অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল গত ১৭ জুলাই প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত ফলাফল আপত্তি ও প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার ২৩ হাজার ১২৩ পরীক্ষার্থী উত্তরপত্র নতুন করে মূল্যায়নের জন্য আবেদন করে। এতে ৮৭ জনের ফল পরিবর্তন এসেছে। এদের মধ্যে ফেল করা ৩০ জন পূর্ণ পুনঃনিরীক্ষার বিভিন্ন গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে পাস করেছে। এর বাইরে ও অকৃতকার্য থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে দুইজন। এ গ্রেট থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২ জন। এ মাইনাস থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছে আরো দুইজন।
এছাড়া বাকিদের বিভিন্ন গ্রেডের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, পরীক্ষার উত্তরপত্রে নম্বর যোগফল গণনার কারণে পুনঃনিরীক্ষণ রেজাল্ট পরিবর্তন আসে। ফেল করা শিক্ষার্থী যা পুনঃনিরীক্ষা জিপিএ ৫ পাওয়ায় পরীক্ষকদের দক্ষতার বিষয়ে তিনি বলেন, অভিজ্ঞ পরীক্ষা দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যেও কিছু খাতায় অনিচ্ছাকৃত বা গণনায় ভুল হয়। নিয়ম অনুযায়ী সে প্রাপ্য ফলাফল সেটাই দেয়া হবে আর খাতা দেখার ভুল করা পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
প্রসঙ্গত. দুই বছর পরই এইচএসসি ফলাফল ঘুরে দাঁড়ায় যশোর শিক্ষা বোর্ড। গত দুই বছর নিম্নমুখী ফলাফলের পর এবার পাসের হার পাসের হার বেড়েছে ১৫.২৭ শতাংশ। যশোর বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছর এর হার ছিল ৭ দশমিক ৪০ এ বছর একসাথে বেড়েছে জিপিএ ৫ ও জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫ হাজার ৩১২ জন। এর সাথে যোগ হলো আরো ২৬ জন। তবে ২০১৬ সালের ২৩ দশমিক ৪২ ভাগ পাশের হার নিয়ে দেশ সেরা হয়েছিল যশোর শিক্ষা বোর্ড।
বহুমাত্রিক.কম