ছবি : বহুমাত্রিক.কম
ভোলা : চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাথে অন্যতম প্রবেশ পথ ভোলার ইলিশা ফেরি ও লঞ্চ ঘাট। ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ইলিশা ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের জিম্মি করে তাদেরকে সি-ট্রাক ও ফেরি আসবে না বলে ইজারাদের নিজস্ব বোটে করে পারাপারের জন্য বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এমনকি যাত্রীদের বাধ্য করে তাদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ১৫০ টাকার ভাড়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে তারা। মানুষ নিজ কর্মস্থলে যাওযার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেনে নিচ্ছেন ইজারাদারদের সকল চাওয়া-পাওয়া। এক্ষেত্রে সরকারের কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না ইজারাদাররা।
এদিকে মাসিক মাসোহারা নিয়ে প্রশাসন নিশ্চুপ। কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সামনে এ সকল বোটে যাত্রী তুললেও তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে। আর এভাবেই প্রতিদিন ১০ হাজারের অধিক যাত্রী পারাপার করছে। এর অর্ধেক পারাপারের একমাত্র মাধ্যম এখন স্টিল ও কাঠের বডির নৌকা।
জানা যায়, ঘাটে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রশাসনের নাগালে ইজারাদার এ সকল কর্মকান্ড করে চলেছেন বহুদিন ধরে। তবে ঈদকে সামনে রেখে তারা আরো বেশি সক্রিয়। প্রতিদিন ৪টি করে লঞ্চ ও ২টি সি-ট্রাক যাত্রী পারাপার করছে এই ঘাট দিয়ে। কিন্তু তারা বাড়তি কোনো ট্রিপ দিচ্ছে না এটাই যেনো এখন ইজারাদের যোগসাজশ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বোটে করে যাত্রী পারাপার করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এখন ডেঞ্জার জোন মানছে না উত্তাল মেঘনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপদজনক জোন দিয়ে প্রতিদিন ১০-১২টি বোট দুই থেকে তিনশত যাত্রী প্রতিটি বোটে আসা-যাওয়া করছে। সাথে বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা। মাঝে মাঝে প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে নারীদের অবস্থা হয়ে যায় সংকটাপন্ন। তার ফলে ইজারাদারদের সাথে পকেট ভারি হচ্ছে কতিপয় অসাধু ব্যক্তির। আর যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
ঘাটে সি-ট্রাক বসিয়ে রেখেও আমাদেরকে বোটে যেতে হচ্ছে এমন একাধিক অভিযোগ করেছেন অনেক যাত্রী। এ বিষয়ে দায়িত্বরত কোষ্টগাডের এক সদস্য বলেন, বোটে করে যাওয়ার বা ডেঞ্জার জোনে বোট চালানোর অনুমতি আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে আমি আমার দক্ষিণ জোন কোষ্ট গাডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করেছি তারা আমাকে বলেছে যাত্রীরা যদি সেইফ মনে করে তাহলে তারা বোটে যেতে পারে।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকি বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত আছি। যাত্রীদের পারাপার যাতে নিশ্চিত হয় ও ঝুঁকিহীন হয় সেজন্য একটি মোবাইল টিম কাজ করছে। যারা বোটে বা নৌকায় করে যাত্রী পারাপার করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বহুমাত্রিক.কম