ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন পেলেন সাঈদ ইবরাহিম রাইসি। ইরানের সংবাদ মাধ্যম পার্সটুডে জানায়, তাকে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী।
মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইবরাহিম রাইসিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেন খামেনী।
পার্সটুডে জানায়, অনুষ্ঠানে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুর রেজা রাহমানি ফাজলি ১৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিষয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেন যাতে ইব্রাহিম রাইসি বিজয় নিশ্চিত করা হয়। বৃহস্পতিবার ইরানের জাতীয় সংসদে প্রেসিডেন্ট রাইসি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেবেন।
পার্সটুডে জানায়, গত ১৮ জুন অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিচার বিভাগের সাবেক প্রধান ইবরাহিম রাইসি নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেন। দায়িত্বগ্রহণের পরে প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়েছে। দুই মেয়াদে আট বছর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন হাসান রুহানি।
সাঈদ ইব্রাহিম রাইসি ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইরানের মাসাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন । মাত্র ২০ বছর বয়সেই কারাজ শহরের প্রধান প্রসিকিউটরের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর থেকেই ইরানের বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাইসি। বিচারব্যবস্থার ওপর অর্জন করেছেন উচ্চতর ডিগ্রি।
রাজনৈতিকভাবে কট্টর রক্ষণশীল নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। ১৯৭৯ সালে ইরানে সংগঠিত ইসলামি বিপ্লবের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ছিল তার। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সহযোগী হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।
১০ বছর ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর, ২০১৪ সালে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাইসি।
এরপর ২০১৬ সালের এপ্রিলে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে পার্লামেন্টের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে যোগদান করেন।
এরপর ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিলেও মধ্যপন্থি নেতা হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হন তিনি। তবে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সমর্থন নিয়ে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে বিপুল জয় পান ৬১ বছর বয়সী সাঈদ ইব্রাহিম রাইসি।