Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করা হয় কীভাবে?

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২ ডিসেম্বর ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করা হয় কীভাবে?

ঢাকা : বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রোববার থেকে প্রার্থীদের দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা শুরু হবে।সব হিসাব-নিকাশ শেষে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ই ডিসেম্বরে।

এই মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোকে আমলে নেয়া হয় বা কোন কোন কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে, সেবিষয়ে বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমেদ।

যেসব তথ্য দিতে হয় মনোনয়ন পত্রের সাথে
হেলালউদ্দীন আহমেদ বলেন, মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই করে রিটার্নিং অফিসার; অর্থাৎ জেলা প্রশাসক ও দু`জন বিভাগীয় কমিশনার রয়েছে যারা এই বিষয়টির দায়িত্বে থাকেন।

জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্যানেল যাচাই করেন যে মনোনয়ন পত্রে যে তথ্যগুলো চাওয়া হয়েছে প্রার্থীরা সেগুলো দেয়া হয়েছে কি-না।

প্রার্থীর নাম, পিতা-মাতার নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, প্রস্তাবকের নাম, সমর্থকের নাম, প্রস্তাবক ও সমর্থকের স্বাক্ষর, তিনি হলফনামা যথাযথভাবে পূরণ করেছেন কি-না, প্রার্থীর নামে কোনো ফৌজদারি মামলা আছে কি-না এবং প্রার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিবরণ সংযুক্ত করতে হয় মনোনয়ন পত্রের সাথে।প্রার্থিতা বাদ পড়তে পারে যেসব কারণে

হেলালউদ্দীন  আহমেদ বলেন, "প্রার্থীর নামে ফৌজদারি মামলা থাকলে বা প্রার্থী যদি কোনো তথ্য গোপন করেন তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।""প্রার্থী অভিযুক্ত আসামী হলে বা ঋণ খেলাপি হলেও তার প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে।"

এমনকি প্রার্থী যদি মনোনয়ন পত্রে ভুলবশতঃ স্বাক্ষরও না দেন, তাহলেও তার বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

"তবে নাম বা ঠিকানায় ভুলের মতো ছোটখাটো ভুলত্রুটিকে উপেক্ষা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কিন্তু বড় ধরণের ভুলের ক্ষেত্রে নমনীয় হওয়ার কোনে সুযোগ নেই," জানান হেলালউদ্দীন  আহমেদ।

প্রার্থীর সম্পদের হিসাব
নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় প্রার্থীর হলফনামায় উল্লেখিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব নিয়ে সবসময়ই আলোচনা তৈরি হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে।

হলফনামায় অধিকাংশ প্রার্থী তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির যে তালিকা প্রকাশ করেন - তার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রত্যেক নির্বাচনের আগেই।

নির্বাচন কমিশন আসলে কোন কোন বিষয় বিবেচনা করে প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে থাকে?

হেলালউদ্দীন আহমেদ বলেন, একজন প্রার্থী স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব এফিডেভিট করে দেন হলফনামা আকারে। সাথে প্রতিবছর তার আয়ের বিপরীতে যে আয়কর দেন, সেটির রিটার্ন সার্টিফিকেটও দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, "তবে প্রার্থীর হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের পরিমাণের সাথে তার প্রকৃত সম্পদের হিসাব সাধারণত নির্বাচন কমিশন যাচাই করে না।""নির্বাচন কমিশন সাধারণত হলফনামায় উল্লেখিত সম্পদের পরিমাণের সাথে প্রার্থীর আসল সম্পদের হিসাব মিলিয়ে দেখে না।"

তবে দুর্নীতি দমন কমিশন বা কর বিভাগ যদি অনুসন্ধান করতে চান তাহলে তারা এটি মিলিয়ে দেখতে পারেন বলে জানান হেলালউদ্দীন  আহমেদ।

মনোনয়ন পত্র বাতিল হলে কি নির্বাচনের সুযোগ আছে?
রিটার্নিং অফিসারের বিবেচনা সাপেক্ষে একজন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হলেও সেই প্রার্থীর সামনে নির্বাচনের সুযোগ থাকে বলে নিশ্চিত করেন মি. হেলালউদ্দীন আহমেদ।

"রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল হওয়ার পর প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রাথমিক পর্যায়ে আপিল করতে পারেন।"

"নির্বাচন কমিশনও যদি প্রার্থীর আবেদন বাতিল করে দেয় তখন প্রার্থী হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবেন। হাইকোর্ট যদি তার আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে ঐ প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন", বলেন মি. আহমেদ।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer