জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদের লড়াইয়ে পার্লামেন্ট সদস্যদের পর্যাপ্ত সমর্থন পেয়েছেন মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য সানাই তাকাইচি। তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইশিহিদি সুগার স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন।জাপানি সম্প্রচার মাধ্যম এনএইচকে’র বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন সানাই তাকাইচি। এর আগে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বরে ক্ষমতাসীন দল এলডিপির প্রেসিডেন্ট পদের দৌঁড়ে আইনপ্রণেতাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন তিনি।
পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় দলটির নেতাই হবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জাপানেরর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেরও সমর্থন পেয়েছেন।
ইয়াসুকুনি সমাধিস্থলে পরিদর্শন করে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন অতি রক্ষণশীল বলে পরিচিত ৬০ বছর বয়সী জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা তাকাইচি। ওই সমাধিকে জাপানের সাবেক সামরিক আগ্রাসনের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। জাপানের জাতীয় প্রতিরোধ বাহিনী প্রতিষ্ঠার পক্ষে তিনি সাংবিধানিক সংশোধনের দাবি জানিয়েছিলেন দীর্ধদিন ধরে।
১৯৯৩ সালে তিনি প্রথম পার্লামেন্টের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। পরে বর্তমানে-বিলুপ্ত হওয়া নিউ ফ্রন্টিয়ার পার্টিতে যোগ দেন। তিনি ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের গুণমুগ্ধ বলেও পরিচিত।