ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট ম্যাচে পেসার ছাড়াই খেলে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রতিপক্ষের ৪০টি উইকেটই স্পিনাররা তুলে নেওয়ার রেকর্ডের একমাত্র মালিক টাইগাররা। এই জয়টাই পেস বোলার না খেলানো নিয়ে সব সমালোচনা থামিয়ে দিয়েছে। টাইগার পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের কাছেও জয়টাই মুখ্য। সেটা যদি পেসার ছাড়াই আসে, তাতে আপত্তি নেই ওয়ালশের।
ম্যাচ শুরুর আগে দলে কোনো পেসার না থাকা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। সিরিজের প্রথম টেস্টে চট্টগ্রামে উইন্ডিজদের বিপক্ষে একমাত্র পেসার হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান সুযোগ পান মাত্র ৪ ওভার বল করার। কিন্তু সেখানে পাননি কোনো উইকেট।
কিন্তু স্পিনারদের হাত ধরে এমন অবিশ্বাস্য জয়ের পর সেসব সমালোচনা ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেছে। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তেমনটাই জানালেন এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। ওয়ালশ বলেন, `আমরা এখানে জিততেই এসেছি। পিচ যেমন, জেতার জন্য তেমন কম্বিনেশন সাজিয়েই খেলতে হবে আমাদের। আমি সবসময় এটা নিয়ে খুশি।`
চার স্পিনার নিয়ে খেলানোর সমালোচনার জবাবে ক্যারিবিয়ানদের সোনালী সময়ের উদাহরণ টেনে ওয়ালশ বলেন, `ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন রাজত্ব করত, তাদের দলে চার পেসার থাকতো। এখন বাংলাদেশ চার স্পিনার নিয়ে খেলে রাজত্ব করছে, এটাই স্বাভাবিক ধারা। তাছাড়া পিচ মোটেও স্পিন বান্ধব ছিল না। আমাদের মনে হয়েছে স্পিনাররাই এখানে বড় ভূমিকা রাখবে এবং সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।`
কিন্তু এই যে স্পিন নির্ভর দল গড়া হচ্ছে, আখেরে দলের পেসারদের এতে ক্ষতি হচ্ছে কিংবা পেসাররা এতে অসহায় হয়ে পড়ছে কিনা, এমন মন্তব্যের সঙ্গে মোটেই একমত নন ওয়ালশ।
`মোটেই না। ট্যাকটিক্যালি আমরা চেয়েছিলাম ম্যাচ ও সিরিজ জিততে বেশি স্পিনার খেলাতে। সেটি অর্জিত হয়েছে। মূল লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ছেলেরা ভালো খেলেছে। জয়টা হয়তো খুব সহজ মনে হতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দুটি দিন ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দারুণ খেলেই জিতেছে।`
সামনেই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে টাইগাররা। সেখানে পেস বান্ধব পিচ থাকবে। ফলে কিউই সফরে পেসারদের সামনে সুযোগ থাকবে নিজেদের প্রমাণ করার, এমনটাই মনে করেন এই ক্যারিবীয় গ্রেট।
`আমি মনে করি এই টেস্ট সিরিজ দেখিয়ে দিয়েছে, যখনই সুযোগ আসবে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আশা করি আমরা যখন নিউজিল্যান্ড সফরে যাব, সিমাররা ভালো সুযোগ পাবে। সেখানে আমরা ভিন্ন উইকেট পাব এবং তারা (পেসাররা) সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।`