পেঁয়াজের জ্বালায়ই আমি অস্থির হয়ে পড়েছি বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, কৃষিখাতের এই পণ্যটি নিয়ে বেশ অস্বস্থিতে পড়তে হয়। এ জন্য সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ফলন পাওয়া সম্ভব ও দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করে রাখা যায় এমন পেঁয়াজের জাত উদ্ভাবন করতে বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত দৈনিক বণিক বার্তা ও বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ৫০ বছর কৃষির রূপান্তর ও অর্জন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান বলছে আমাদের দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ২৬ লাখ মেট্রিক টন। বছরে আমাদের প্রয়োজন ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন মেট্রিক টন। যদি এই হয়, তাহলে আমদানি কেন? এমন প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে পচনশীল পণ্য বলে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২০ শতাংশ নষ্ট হয়, তাও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কৃষি মন্ত্রণালয় হিসাব দিলো- আমাদের দেশে ১ কোটি ৫ লাখ টনের মতো আলু উৎপাদন হবে। আর আমরা ৭০-৭৫ লাখ টন আলু খাই। তার মানে আলু সারপ্লাস থাকবে। কিন্তু গত বছরের বাজারের চিত্র কিন্তু সেটা বলে না।
তিনি বলেন, গত বছর আলুর দাম ৪০ টাকায় ঠেকলো। কোল্ডস্টোরেজ থেকে মজুত করা আলু বের হতে হতে আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা হয়ে গেল। অথচ আলু এক্সপোর্টও হলো না। তার মানে হিসাবে একটা গণ্ডগোল রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে- হয় আলুর উৎপাদন কম হয়েছে, নয়তো আলুর চাহিদা আরও বেশি। আসলে পণ্যের মজুত ও চাহিদা সম্পর্কে কৃষি মন্ত্রণালয় সঠিক তথ্য দেয় না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই আমাদের পেঁয়াজ কমতে থাকে। তখন ভারত থেকে আনতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের ওপর আমরা ৯০ শতাংশ নির্ভরশীল। ভারত বন্ধ করে দিলে অথবা দাম বাড়ালে এর প্রভাব আমাদের বাজারে পড়ে।