যশোর : ডিবি পুলিশ পরিচয়ে যশোরে এক রাতে পাঁচ যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর তুলে নেয়ার যাওয়ার কথা পুলিশ কর্মকর্তারা জানেন না বলে দাবি করেছে।
নিখোঁজ যুবকরা হলো, যশোর শহরের আরবপুর গোরাপাড়ার সাহেব আলীর ছেলে সোহান হোসেন, একই এলাকার আজিজের ছেলে শুকুর আলী,যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের চাঁন সিকদারের ছেলে ইয়াছিন, যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর রানীবাজার এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে রিপন (৩০) এবং ঝিকরগাছা উপজেলার অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবক।
সোহান হোসেনের পিতা সাহেব আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের কয়েকজন এসে সোহানকে নিয়ে যায়। বিশেষ কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। এরপর তাকে কোথাও খুঁজে পাওনা যায়নি। একই রাতে শুকুর নামে আরো এক যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিখোঁজ রিপনের স্ত্রী লাকী আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে যশোর শহরে আসে। তারপর থেকে তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় রিপনের মা রাশিদা খাতুন রুবি থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন। কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান সাধারণ ডাইরিটি চাঁনপাড়া ফাঁড়ির এসআই শামীম আক্তারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এসআই শামীম আক্তার জানান, রিপনের পরিবার থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন। আমাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে শুনেছি। একই কায়দায় ঘোপের লন্ড্রী দোকানদার ইয়াছিনকে তুলে নেয়া হয়েছে। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝিকরগাছার অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবককে।
সোহান বা শুকুর আলী নামে কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন যশোর পুরাতন কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মিলন কুমার মন্ডল। ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, একটি ছেলে নিখোঁজ হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। কিন্তু অভিযোগ দেয়নি।
কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, কোতয়ালি থানার পুলিশ তাদেরকে নিয়ে আসেনি। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে পাঁচ যুবককে তুলে নিয়ে আসার কথা অস্বীকার করে ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশ কাউকে আটক করেনি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ডিবি পুলিশ কোন অভিযানে যায়নি। অভিযোগকারীদের সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করার জন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। থানা পুলিশ যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়, তবে, পুলিশ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানান।
বহুমাত্রিক.কম