ছবি : বহুমাত্রিক.কম। পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়া দাখিল পরীক্ষার্থী হোসনে আরা ও তার মা জুলেখা বেগম
সাভার : আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হোসনে আরা নামের এক দাখিল পরীক্ষার্থীর ডান হাত ও তার মায়ের বাম হাত ভেঙ্গে দিয়েছে স্থানীয় চিহিৃত সন্ত্রাসী আসলাম। হাত ভাঙ্গার কারণে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি পরীক্ষার্থী হোসনে আরা। ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
২৮ জানুয়ারী বিকেলে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপি’র উত্তর নাল্লাপোল্লা এলাকার পরীক্ষার্থীর নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসী হামালার ঘটনাটি ঘটে। আহত হোসনে আরা আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউপির উত্তর নাল্লাপোল্লা এলাকার হারুন-অর-রশিদের মেয়ে ।সে নাল্লাপোল্লা আদর্শ ইসলামিয়া সিনিয়র বহুমূখী মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ।
ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসী আসলাম হোসেন পলাতক রয়েছে। সে একই এলাকার আজেল হোসেন এর ছেলে।
হোসনে আরার বাবা হারুন-অর-রশিদ জানান, সোমবার দুপুরে তার কলাই ক্ষেতে গরু বেধে কলাই খাওয়াচ্ছিল এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী আসলাম হোসেনের মা শাহানা বেগম। বিষয়টি হোসনে আরার মা (খোদেজা বেগম) প্রতিবাদ করলে তাদের দুইজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসলাম হোসনে আরাদের বাড়িতে গিয়ে তার মাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। এসময় হোসনে আরা তার মাকে বাঁচাতে গেলে আসলাম তাকে পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। পরে তাদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী আসলাম পালিয়ে যায়।
এসময় তাদের উদ্ধার করে মা ও মেয়েকে ওই দিনই প্রথমে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজনের হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এদিকে, আহত হোসনেয়ার সহপাঠিরা রোবাবার সকালে নাল্লাপোল্লা আদর্শ ইসলামিয়া সিনিয়র বহুমূখী মাদ্রাসার মাঠে সন্ত্রাসীর বিচারের দাবিতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মানব বন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সন্ত্রাসী হামলার ৭ দিন পরও আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।
ঘটনায় আশুলিয়া থানায়, আসলাম, তার বাবা আজেল মিয়া, আসলামের স্ত্রী সুমী ও আসলামের মা শাহানাকে বিবাদি করে হোসনে আরার নানা শামসুল হক বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই ফুল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আজেলকে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্ত ভোগীরা।
আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক দিপু জানান, মা ও মেয়েকে পিটিয়ে হাত ভাঙ্গার ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই ফুল মিয়াকে বার বার ফোন করার পরও সে রিসিভ করেনি।
বহুমাত্রিক.কম