মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক বাংলাদেশি এমপি শহীদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন। দেশটির দৈনিক আল সিয়াসাহ পত্রিকার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার আরব টাইমসে বলা হয়েছে, বুধবার এই মামলায় কুয়েতের সাবেক এক এমপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় এসেছেন দেশটির সুপরিচিত এক ব্যবসায়ীও।
এ ছাড়া কুয়েতের আরও দুই এমপিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের দায়মুক্তি প্রত্যাহার হওয়ার অপেক্ষায় আছেন তদন্তকারীরা।
মানব পাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৭ জুন সাংসদ পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে উঠে আসে কীভাবে বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য মানুষকে প্রতারিত করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং এই কাজে তাকে কুয়েতের প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তারাও সহায়তা করেছেন ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য সুযোগের বিনিময়ে।
এখন পর্যন্ত তদন্তে বের হয়ে এসেছে পাপুল প্রতি বছর ঘুষ, উপহার ও অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় ৬০ কোটি টাকা নেট লাভ করতেন। এ ছাড়া পাপুল এবং তার কোম্পানির প্রায় ৫০ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৪০ কোটি টাকা) ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ ফ্রিজ করার জন্য ওই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছেন কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউটর।
আল সিয়াসাহ পত্রিকার বরাত দিয়ে আরব টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, পাপুলের মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে বুধবার কুয়েতের সাবেক এক আইনপ্রণেতাকে টানা চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। ওই কুয়েতি আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও অবৈধ কাজে সহায়তার অভিযোগ আনা হলেও ব্যক্তিগত জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে তার সাক্ষ্য নথিভুক্ত করা হয়। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুয়েতের ওই এমপি।