ঢাকা : চলে গেলেন কলকাতার যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কৃষ্ণা বসু। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার সকালে সোয়া ১০টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নেতাজি পরিবারের অন্যতম প্রবীণ এই সদস্য।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস নেতা ও লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ অন্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রয়াত কৃষ্ণা বসু নেতাজির ভাইপো শিশির কুমার বসুর স্ত্রী শুধু ছিলেন না, একজন বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদও ছিলেন। ছিলেন যাদবপর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনবারের সাংসদও। নেতাজি গবেষক হিসেবেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
বসু পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। প্রয়াত কৃষ্ণা বসুর ছেলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুগত বসু তৃণমূল সাংসদ ছিলেন। নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর প্রধান কৃষ্ণা বসু দীর্ঘ চল্লিশ বছর অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সিটি কলেজের এই অধ্যাপিকার অসংখ্য বই রয়েছে। এর মধ্যে নেতাজি সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণামূলক বইও রয়েছে। ৭৭ নম্বর শরৎ বসু রোডের বাড়িতেই থাকতেন কৃষ্ণা বসু। দুপুরের পর হাসপাতাল থেকে তার দেহ নিয়ে যাওয়ার কথা তার বাড়িতে।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণা বসু একজন বাংলাদেশ প্রেমি মানুষ ছিলেন। ১৯৭১ সালে কলকাতায় কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম বাংলাদেশির পতাকা উত্তোলনের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেই স্মৃতিও তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ভাগ করে নিয়েছেন। ১৯৩০ সালে ২৬ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলার ঢাকায় জন্ম নিয়েছিলেন। তার মৃত্যুতে শিক্ষা মহল সহ রাজনীতিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমেছে।