শহিদ কাপূর এবং কারিনা কাপূর অভিনীত `জব উই মেট` দেখে হাসি-কান্নায় ভাসেননি এমন দর্শকের সংখ্যা অনেক। তবে সেই ছবি তৈরির সঙ্গে এমন অনেক চমকপ্রদ ঘটনা জড়িয়ে আছে, যা শুনলে তাজ্জব হতে হয়!
এদিকে ছবিতে `আদিত্য`র ভূমিকায় শহিদ কাপূরের জায়গায় অভিনয় করার কথা ছিল কথা ছিল ববি দেওলের। শ্রী অষ্টবিনায়ক স্টুডিও, যারা এই ছবিটির প্রযোজনা করেছিলেন, তাদের সঙ্গে শুরু থেকে কথা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রপুত্রই নায়ক হবেন। কিন্তু তারপর অদ্ভুত কাণ্ড!
এরপর একটি সাক্ষাৎকারে ববি জানান, তিনিই প্রযোজকদের বলেছিলেন, পরিচালক হিসেবে ইমতিয়াজ আলিকে নিতে। আর নায়িকা হবে কারিনা। তাছাড়া এর আগেই `আজনবি` ছবিতে বেবোর বিপরীতে অভিনয় করে স্বচ্ছন্দ বোধ করেছিলেন ববি। তাই এ বারও পর্দা ভাগ করতে চেয়েছিলেন সম্ভবত। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দেয় নিয়তি।
প্রযোজকরা ববির প্রস্তাব শুনে প্রথমে তেমন উৎসাহিত হননি। বলেন, ইমতিয়াজের সঙ্গে কারিনা কি কাজ করতে চাইবেন? তা ছাড়া ইমতিয়াজ ছবিতে হাত দিলে বড্ড বেশি বাজেট বাড়ে। কিন্তু তাও কথাবার্তা এগোয়। কারিনা একটু দর কষাকষি করে রাজি হয়ে যান। কিন্তু শর্ত দেন যে, ছ`মাস পর শ্যুটিং করতে পারবেন। তাই তার কথা মতো সেই দফায় আটকে যায় `জব উই মেট` এর কাজ।
একদিন হঠাৎ চমকে ওঠেন ববি। তিনি দেখেন, ছবির শ্যুটিং শুরু হয়ে গেছে তাকে বাদ দিয়েই। কারিনা, ইমতিয়াজ— সবাই পরিকল্পনা মতো যে যার ভূমিকায় এলেও , নায়কের জায়গায় তিনি নয় , ছিলেন কারিনা তৎকালীন প্রেমিক শহিদ কাপূর।
শুধু তাই নয়, ববি জানান, `হাইওয়ে` ছবিতেও ইমতিয়াজের সঙ্গে কাজ করার কথা ছিল তার। কিন্তু সে বারও বাদ পড়েছিলেন কোনও এক অজ্ঞাত কারণে। তবে এ নিয়ে পরিচালক ইমতিয়াজ আলির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়নি অভিনেতার। হাসতে হাসতে ববি বলেন, ‘ইমতিয়াজ, তুমি যতক্ষণ না আমায় তোমার ছবিতে নেবে আমি তোমার একটা কাজও দেখব না। বিশ্বাস কর, আমি যেটায় থাকব, সেটাই তোমার সেরা ছবি হবে।’
তবে ববির আক্ষেপ থাকলেও মোটের উপর বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল `জব উই মেট`। যদিও শোনা যায়, সেই উথালপাথাল প্রেমের ছবির সেটেই নাকি চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন শহিদ এবং কারিনা।