ঢাকা : স্বজনদের কাছে ফিরেছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। নিজ নিজ জেলায় রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন সবাই। আবেগ আর ভালবাসায় ঘরের ছেলেকে বরণ করে নিলেন উচ্ছ্বসিত জনগণ। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ছিল তাদের চোখে-মুখে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ফেরাটা হয়েছে রাজসিক। বিসিবিতে ট্রফি প্রদর্শনের আলোকিত রাত শেষে দিনের আলো ফুটতেই নাড়ির টানে এবার তারা পৌঁছে গেছেন স্বজনদের কাছে।
দীর্ঘক্ষণের অপেক্ষা সার্থক হয় অবশেষে। আকাশ পথে সৈয়দপুর পৌঁছান বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য ফাইনাল আকবর আলী। সঙ্গী ছিলেন আরেক সতীর্থ শরীফুল ইসলাম। হাজারো সমর্থকের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ক্রিকেটারদের বসিয়ে রাখতে পারেনি ছোট্ট গাড়ির ভেতর। দাঁড়িয়ে অভিবাদনের জবাব দিতে হয়েছে হাত নেড়ে।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাকি ক্রিকেটারদের জন্যও অপেক্ষায় ছিল হাজারো সমর্থক। চাঁদপুর, বগুড়া আর রংপুর। একই চিত্র সবখানে। সমর্থকদের মধ্যমণি যুবারা। নিজ এলাকায় তাদের বরুণ করা হয়েছে পরম ভালোবাসায়। যেখানে বেড়ে ওঠা, শৈশব-কৈশোর সেখানে এমন ফিরে আসার আবেগ যেনো আরো বেশি।
ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয় বলেন, খুব ভালো লেগেছে। আপনারা যেভাবে আমাদের সাপোর্ট দিয়েছেন সেটা অবিশ্বাস্য। আমরা চাই সামনে এভাবে আমাদেরকে সাপোর্ট দেবেন।
বগুড়া শহরের বনানী পর্যটন মোটেলের সামনে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ছিলেন আরো এক চ্যাম্পিয়ন, তানজিব তামিম। সমর্থক আর স্বজনদের আলিঙ্গনে সিক্ত হয়েছেন তিনিও। বিনিময়ে অভিবাদনের জবাব দিয়েছেন, বিনম্র কৃতজ্ঞতায়।
তানজিদ হাসান তামিম বলেন, সত্যি ভাবিনি আমাদেরকে এই রকমভাবে সংবর্ধনা দেয়া হবে। আমরা অনেক খুশি সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
অন্যদিকে, নৌ-পথে নিজ বাড়ি চাঁদপুরে পৌঁছান মাহমুদুল হাসান জয়। সেখানে সেমিফাইনালের সেঞ্চুরিয়ানকে এক নজর দেখতে ঢল নামে হাজারো মানুষের। পরে তাকে নিয়ে আনন্দ র্যালি প্রদক্ষিণ করে পুরো শহর। এর মাঝেই, সেখানে পৌঁছে যান আরেক বীর শামীম হোসেন। পরে, দু`জনকে এক সঙ্গে গণসংবর্ধনা দেয় জেলা প্রশাসন।
মাহমুদুল হাসান জয় বলেন, বিশ্বকাপ জয়ে করে দেশে ফিরে এসেছি। এখন খুব ভালো লাগছে। আপনারা যেভাবে আমাদেরকে সার্পোট দিচ্ছেন সত্যি অবিশ্বাস্য।
এবার ক্রিকেট থেকে কিছুদিনের বিরতি। তারপর যে ছুঁটতে হবে নতুন লক্ষ্যে।