ছবি: পিআইডি
ঢাকা: রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময়ে নতুন প্রজন্মকে দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি নিয়ে আর বিভ্রান্ত করা যায় না। তারা দেশ এবং জাতির প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের পর ’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল একটি কুচক্রী মহল। দেশের ইতিহাস, শিল্প-সংস্কৃতি কোনকিছুই তার স্বাধীনতার চেয়ে বড় নয়। আর এই স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে পরিচিতি দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।ব্যক্তি থেকে জাতিতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সেই ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার ফোকলোরবিদ ড. শামসুজ্জামান আলোচনা করেন।
কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন,ড.এনামুল হক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন, নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান, সংসদ সদস্য ফারুক পাঠান এবং সারাহ বেগম কবরীসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শিল্পসংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসত্ত্বার আকাঙ্খার জন্ম দিয়েছেন, সৃষ্টি করেছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ।দেশের মানুষের অস্তিত্ব তৈরির জায়গা বিনির্মাণ করে গেছেন। এখানেই শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রেষ্ঠত্ব। তিনি মহামানব, এটাই তার বড় পরিচয়।
শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী-রাজনৈতিক ও চেতনাকে মানসপটে ধারণ করতে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করে সাহসের সঙ্গে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে দেশের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে ভবিষৎ প্রজন্মকে দেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা উপস্থাপন করতে চেয়েছি।
একটি অসংগঠিত জাতিকে বিকশিত হবার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু-এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি জাতির জন্য দেশকে যেভাবে সাজানো প্রয়োজন তার রূপরেখা তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭৫ -২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে যেভাবে আমরা দৃশ্যত তা অনুসরণ করে যাচ্ছি।
ড. শামসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে তার সম্মোহনী শক্তি দিয়ে পুরো জাতিকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে অকুতোভয়ের এই সংগ্রামী নেতা দেশের সর্বস্তরে মানুষের কথা ভেবে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন।বিশ্বের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত আর কেউ স্থাপন করতে পারেনি। শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বলেও জানান তিনি ।