ছবি : বহুমাত্রিক.কম
মৌলভীবাজার : টানা বর্ষন ও উজানের পাহাড়ি ঢল নেমে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার রাত ২টায় ধলাই নদীর রামপাশা এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কমলগঞ্জ পৌরসভার রামপাশা এলাকায় ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুটি গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তবে দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় ঢলে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে ধলাই নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। গভীর রাতে পৌরসভার রামপাশা গ্রামের শ্যামল পাল চৌধুরীর বাড়ি সংলগ্ন ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় একশ’ ফুট পরিমাণ বাঁধ ভেঙ্গে রামপাশা ও কুমড়া কাপন গ্রাম প্লাবিত হয়।
কমলগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, এলাকার প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে জয়ধন মালাকার, যোগিন্দ্র মালাকার, মনিন্দ্র মালাকার ও সুনিল মালাকারের পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। রাতে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত রামপাশা গ্রামের শ্যামল পাল চৌধুরী, নির্মল পাল চৌদুরী, প্রত্তোষ ধর, প্রতীম ধর, পদন্য পাল, অমর পাল চৌধুরী, মনির হোসেন, খোকন মালাকার, গৌতম কর, সত্তার মিয়া, নিধু করসহ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েন।
কমলগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফখরুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে বাঁধ ভেঙ্গে নদীর পানি প্রবেশ করে প্লাবনের সৃষ্টি হয়। প্লাবনে রামপাশা ও কুমড়াকাপন গ্রামের ব্যাপক এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। শনিবার সকাল থেকে পানি ছাইয়াখালি হাওরে জমা হতে শুরু করে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পানিবন্দি পরিবার গুলোকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন রামপাশা ও কুমড়াকাপন গ্রামসহ পুরো কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর উপর সার্বিক নজরদারি করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ঘটনাস্থলে তাদের দুইজন কর্মকর্তা নজরদারি করছেন। তাছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চলছে। নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, উজানে তেমন বৃষ্টি না হলে আশঙ্কার কিছু নেই।
বহুমাত্রিক.কম