বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে রাখি আকতার নামে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে নানা প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে শিশুটি গর্ভবতী হয়ে পড়েছে। এঘটনায় ন্যায়বিচারকে পাশ কাটিয়ে উল্টো ধর্ষিতা ও তার পিতামাতাকে মুখ বন্ধ রাখতে চাপ প্রয়োগ করছে গ্রামের তথাকথিত মাতব্বরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শৈলধুকরী গ্রামে।
রোববার ঘটনার বিবরণে স্থানীয়রা জানান, ধর্ষিতার পিতা আসাদুল ইসলাম ঢাকায় রিকসা চালান। আর মায়ের সাথে গ্রামে থাকে ওই কিশোরী। অভাবের সংসারে জীবন চলে তাদের। তাই মাকেও অনেক সময় কাজ করতে হয়।
এমন পরিস্থিতিতে ওই কিশোরীকে বাাড়িতে একা পেয়ে নানা ধরনের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে পাশের বাড়ীর মোঃ আবদুল বারিকের ছেলে ইমরান (২৫)। আবার সম্পর্কে মামাতো ভাই হওয়ায় ধর্ষিতার বাড়িতে ইমরানের যাতায়াতকে কেউ অন্য চোখে দেখেনি। তাই সুযোগের সদ্ব্যব্যবহার করে কিশোরীকে ধর্ষণ করে নির্ভয়ে। এর ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই গ্রামের আকতার হোসেন, শাজাহান ও আবদুল বারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে সমাধান করা হবে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রামের টাউটদের ১ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে এবং ধর্ষিতাকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা চলছে। আর এ বিচার মেনে নিয়ে মুখ বন্ধ রাখার হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ষিতার স্বজনরা।
এ লক্ষ্যে ধর্ষক ইমরান পলাতক রয়েছে এবং মুখ বন্ধ রাখতে ধর্ষিতাকে দুরের কোন আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে উভয় পক্ষের অভিভাবক ও গ্রামের মাতব্বর এবং টাউটদের নিয়ে দফায় দফায় শালিস চলছে।
বহুমাত্রিক.কম