Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৯ ১৪৩১, মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪

দু-এক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হবে: অর্থমন্ত্রী

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৪৯, ৩ আগস্ট ২০২২

আপডেট: ১৭:৫০, ৩ আগস্ট ২০২২

প্রিন্ট:

দু-এক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হবে: অর্থমন্ত্রী

দু-এক মাসের মধ্যে দেশের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর পাশাপাশি টাকার বিপরীতে ডলারের দামও কমে আসবে বলে আশা করেন অর্থমন্ত্রী।

বুধবার দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দায়িত্ব নেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৩ শতাংশ। সেই থেকে নানা বাধা-বিপত্তি পার করে আসছে সরকার। সবশেষে করোনা মহামারি ও  ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মত সংকট অতিক্রম করতে হচ্ছে।

এর মধ্যেও দেশের অর্থনীতি ভালো আছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আশা করেন, শ্রীঘই দেশের অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।

তিনি বলেন, এখন যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে তা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে। ইউরোপে গত জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.১ শতাংশ যা এপ্রিল ৭.৪ শতাংশ এবং জুলাইয়ে আরও বেড়ে ৭.৯ শতাংশ হয়েছে। পুরো ইউরোপে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বলা যায়, ইউরোপের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। এসব দেশে থেকে পণ্য কিনে নিয়ে আসার কারণেই দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

ব্রিফিংয়ের শুরুতে একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান দেশে হুন্ডি বেড়েছে কিনা? এর জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, বৈধ পথে অর্থ আসলে সব জায়গায় তার রেকর্ড থাকে, তার জবাবদিহি করা যায়। অফিসিয়াল চ্যানেলে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আসে সেটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু হুন্ডিতে অর্থ আসলে তার বৈধতা থাকে না। তবে হুন্ডি আছে। বর্তমানে কত শতাংশ অর্থ হুন্ডিতে আসছে তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই।

নিজের করা গবেষণার বরাত দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে যত রেমিটেন্স আসে তার ৫১ ভাগ আসে বৈধপথে আর বাকি ৪৯ ভাগ আসে হুন্ডিতে। এটা বিশাল অংক। এসব রেমিটেন্স বৈধপথে আনা সম্ভব হলে দেশ ও এই অর্থ উপার্জনকারী সকলেই উপকৃত হবে। এজন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স উৎসাহিত করা হচ্ছে।

আর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সুদ হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ নেই। যে কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণের শুল্ক বাড়ানো, এলসি মার্জিন বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

এর আগে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এসব কেনাকাটায় ৭৬৪ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার টাকা জড়িত।

 

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer