মির্চি ছাড়ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় বেতার ও টিভি উপস্থাপক মীর আফসার আলি। এত বছরের জার্নি শেষের ঘোষণা করেছেন নিজেই। খবর আজকাল`র।
বহু বছর আগে রেডিওয়ে এসেছেন মীর। সালটা ১৯৯৪। তারপর থেকে রোজ সকালে ওঠা মানুষের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল ওই একটা মানুষের গলা। ১৯৯৪ থেকে ২০২২, আকাশবাণী থেকে মির্চির অফিস, রেডিও শোনা মানুষের কাছে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে মীরের গলা।
মীরের হাসি, মীরের ভয়েস গ্রাফ, সানডে সাসপেন্সের এক একটা চরিত্র ফুটিয়ে তোলা, মীর এবং মির্চি একসঙ্গে রেডিওর ক্রিজে ছয় মেরে গিয়েছে। তবে এবার থেকে আর মির্চিতে শোনা যাবে না তাঁর গলা। শুক্রবার সকালে নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন তাঁর মির্চি ছাড়ার কথা।
নিজের ফেসবুক পেজে ১৯৯৪ সালে আকাশবাণীর প্রথম দিনের ছবি দিয়েছেন। সেই সময়ের তরুণ মীরের ছবি দেখে আবেগ আপ্লুত হয়েছেন অনুরাগীরা। ছবি দিয়ে মীর লিখেছেন নিজের এত বছরের জার্নির কথা। তবে জানিয়ে দিয়েছেন, মির্চি ছাড়ছেন, রেডিও নয়। লিখেছেন কষ্ট হচ্ছে তাঁর, ওই ৯৮.৩-এর মতো। শেষ লাইনে নিজের ড্রামাটিক ভয়েসের মতোই লিখেছেন, `গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর`।
মীরের এত বছরের জার্নিতে মীর যতদিন বসেছেন টেবিলের এপারে, তাঁর তত বছরের সঙ্গী দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের সকলেই আজ হতাশ, কিছুটা দুঃখী। শুধু আশার আলো মীরের শেষ লাইনটুকু, "গল্পের পরবর্তী অংশ ব্রেকের পর"। ব্রেকের পর, মির্চির পর কোথা থেকে শোনা যাবে মীরের গলা, সেই অপেক্ষাতেই সবাই।