Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৩ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

তিস্তার পানি বিপদ সীমার ওপরে, পানিবন্দী হাজারো মানুষ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রিন্ট:

তিস্তার পানি বিপদ সীমার ওপরে, পানিবন্দী হাজারো মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লালমনিরহাটে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল আবারও বন্যায় প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। খবর ইউএনবি’র

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বলেন, ‘হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার নদীর পানি বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।’

স্থানীয়রা জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডালিয়া পয়েন্টেও তিস্তা বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া ও সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ও কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও পলাশী এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘হঠাৎ তিস্তায় বন্যা দেখা দেয়ায় অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।’

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদ সীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বৃহস্পতিবার ওই পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং জনপ্রতিনিধিদের মনিটরিং করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer