Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১০ ১৪৩১, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪

তিনবার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে পাইলট বলেছিলেন ‘সব সামলে নেব’

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ২৬ মে ২০২০

প্রিন্ট:

তিনবার সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে পাইলট বলেছিলেন ‘সব সামলে নেব’

তিন তিনবার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার থেকে সতর্ক করা হয়েছিল পাইলটকে। কিন্তু কথা না শুনে পাল্টা জবাবে তিনি বলেছিলেন, `সব ঠিক আছে। আমি সামলে নেব।`পাইলটের এই আত্মবিশ্বাসই শেষ পর্যন্ত কাল হল। ঝরে গেল ৯৭টি প্রাণ। পাকিস্তানি বিমানটিতে থাকা মাত্র দুজন মৃত্যুকে ছুঁয়ে ফিরে এসেছেন।

গত শুক্রবার লাহোর থেকে করাচির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলো পিকে-৮৩০৩ বিমানটি। করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই ঘটে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, বিমানটিতে যাত্রী এবং ক্রু সদস্য মিলিয়ে মোট ৯৯ জন ছিলেন। তারমধ্যে ৯৭ জনই মারা গেছেন।সোমবার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের দেয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানটিতে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ওড়ার জন্য জ্বালানি ছিল। আর সেটি উড়েছিল মাত্র দেড় ঘণ্টা। পাইলটের ভুল নাকি যান্ত্রিক গোলযোগ, ঠিক কী কারণে ওই বিমানটি ভেঙে পড়েছিল তা খতিয়ে দেখছেন তারা।

রিপোর্টে বলা হয়, বিমানবন্দর থেকে প্লেন যখন ১৫ নটিক্যাল মাইল দূরে তখন প্রথম ওয়ার্নিং বা সতর্কবার্তা পাঠায় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার বা এটিসি। ৭ হাজার ফুটের বদলে তখন প্লেন উড়ছিল ১০ হাজার ফুট উচ্চতায়। দ্বিতীয়বার যখন সতর্কবার্তা পাঠানো হয় তখন বিমানবন্দর থেকে প্লেনের দূরত্ব ১০ নটিক্যাল মাইল। তখন ৩ হাজার ফুটের বদলে বিমান উড়ছিল ৭ হাজার ফুট উচ্চতায়। পরপর দুটো সতর্কবার্তার পরেও কোনো তৎপরতা দেখাননি পাইলট। অবতরণের ঠিক আগ মুহূর্তেও এটিসি থেকে ওয়ার্নিং পাঠানো হয় পাইলটকে। জবাবে পাইলট জানান, পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বরং সব সামলে ল্যান্ডিংয়ের জন্য প্রস্তুত তিনি।

এরপরেই ঘটে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer