রাজধানীর কদমতলী থানার মুরাদপুর হাইস্কুল রোডের একটি বাসা থেকে পরিবারের মা-বাবা-বোনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মেহজাবিনের স্বামী শফিকুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।
একই মামলায় রোববার ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়াও মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে রোববার সকালে রাজধানীর কদমতলী থানায় নিহত মাসুদ রানার বড় ভাই এবং আটক মেহজাবিন ইসলাম মুনের বড় চাচা সাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবারই মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করা হয়। তার স্বামী শফিকুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে শনিবার পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরিবারে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন মেহজাবিন মুন। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাদের মেয়ে জান্নাতুল (২০)।
মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন মুন নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, দুদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। তার জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।