শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে কথা বলতে ঢাকায় এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। তারা শুক্রবার রাতে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস।
তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে কথা বলতে ইতোমধ্যে আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি দল ঢাকায় পৌঁছেছে। আগামীকাল (শনিবার) শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
তিনি ছাড়াও শিক্ষক প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদেন ডিন অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৩টা ৬ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন।
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এদিন বিকেল ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। তবে একজন শিক্ষার্থীর বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তিনি অনশন ভেঙে বাড়ি যান। বাকিদের মধ্যে ১২ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন আর অনশনস্থলে থাকা ১১ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, উপাচার্য তাদের দাবি না মেনে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করেন। পরে সেই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাও ঘটে।
এক পর্যায়ে পুলিশ গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে আহত হন শিক্ষার্থীরা। যদিও পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে উপাচার্যকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে নামেন শিক্ষার্থীরা।