ঢাকা : এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা ব্যাপক। প্রকোপ কমে এলেও উদ্বেগ এখনও ঘরে ঘরে। এবার দেশের ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। মৃতের সংখ্যাও কম নয়। তবে আগামী বছর যাতে ডেঙ্গু এভাবে না ছড়ায় সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
সংস্থাটি আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে একটি কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক, সেবিকা, টেকনোলজিস্ট, কীটতত্ত্ববিদ, পরিচ্ছন্নতা ও মশা মারার কাজে সম্পৃক্ত সবাই কর্মশালায় অংশ নেবেন। সেখান থেকেই পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত সেমিনারে বলা হয়েছে- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর হার এক শতাংশ বা তার বেশি হলে সেটা অস্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশে এই রোগে মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ২ শতাংশেরও কম। মোট মৃত্যুর ৫ শতাংশই ডেঙ্গু আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। মৃত্যুর এ সংখ্যা সাধারণের তুলনায় ২০-২৫ গুণ বেশি। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু সংখ্যা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬৩ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৭ হাজার ৪০৫ জন। যা মোট আক্রান্ত রোগীর ৯০ শতাংশ। শুধু চলতি আগস্ট মাসেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৫৩ জন। বর্তমানে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৯৪০ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ২৬৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ২ হাজার ৬৭২ জন। এ পর্যন্ত আইইডিসিআরে পর্যালোচনার জন্য ১৬৯ জন রোগীর তথ্য এসেছে। যার মধ্যে ৮০ জনের পর্যালোচনা সম্পন্ন করে ৪৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।