Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

চৈত্র ১৪ ১৪৩০, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪

ডিজিটাল যুগে বাড়ছে সাহিত্য চুরি

মুন্সি দরুদ (কলম মানব)

প্রকাশিত: ১৫:৪৮, ১ জুন ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

ডিজিটাল যুগে বাড়ছে সাহিত্য চুরি

রবীন্দ্র, নজরুল সাহিত্যযুগে অবিভক্ত দুই বাংলায় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক ইত্যাদি সংবাদ ও সাহিত্য পত্রিকা খুব বেশি ছিলো না। এখন ছোটো, বড় পত্রিকা লাখের বেশি রয়েছে। তখন ডাক যোগাযোগ উন্নত ছিলো না। ফেসবুক তো ছিলোই না।

ডিজিটাল যুগে যে সকল চোর, সাহিত্যিকদের লেখা চুরি করে তারা শুধু চোরই নয় তারা সাহিত্য জগতটা কুলষিত করে চলেছে। তারা সাহিত্য জগত সম্বন্ধে কিছুই বুঝে না। এখন বেশিরভাগ কবি, সাহিত্যিক ফেসবুক ব্যবহার করেন।

একজন লেখক কবিতা লিখে নিজের ফেসবুক টাইমলাইন সহ বিভিন্ন সাহিত্যগ্রূপে পোস্ট দিচ্ছেন অর্থাৎ কবিতাটি সাহিত্যজগতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। কবিতাটি প্রকাশের জন্য লেখক প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালে দিচ্ছেন অর্থাৎ কবিতাটি সাহিত্যজগতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন ব্লগে প্রতিদিন কবিতা প্রকাশ করা হয়। তারপর অনেক লেখকের একই লেখা একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ হয়ে থাকে।

খুব কম সংখ্যক লেখকের লেখা কপি রাইট থাকে। কেউ একটি কবিতা ফেসবুকে পোস্ট দিলেন সেটা প্রকাশিত কবিতা, অপ্রকাশিত কবিতা, কাব্য গ্রন্থের কবিতা, কপি রাইট কবিতা উল্লেখ না করলে চোর বুঝতে পারবে না। কোন সাহিত্যিকের লেখা কতটা গণ্ডিশক্ত তাদের ক্ষেত্রে বুঝে ওঠা কঠিন তবুও চোরেরা চুরি করেই চলেছে।

কোনো প্রকার চোর রিসিপ্ট কপি দিয়ে চুরি করে না তবুও ফেসবুক জগতে এমন চোর প্রায় ধরা পড়ছে। বাংলায় প্রবাদ বাক্য আছে- ‘চোরের মায়ের ডাগর গলা’।যাইহোক প্রকাশিত, অপ্রকাশিত, কপি রাইট বা যে কোনো প্রকার লেখা মূল (আসল) লেখকের সম্পদ।

সাহিত্যিকের সম্পদ কখনোই চোরের হতে পারে না । চোরদের উদ্দেশ্যে বলা যায় ডিজিটাল যুগে লেখা চুরি করা মানেই নিজের ক্ষতি। চুরি করে সাহিত্যিক দূরের কথা ‘মানুষ’ হতে পারা যায় না । চুরি করে চোর ‘খ্যাতি’ পাওয়া যায়। ডিজিটাল যুগে সাহিত্য চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে । এ বিষয়ে প্রতিবাদী ভূমিকা নেওয়া দরকার।

মুন্সি দরুদ (কলম মানব) : কাজীপাড়া, শান্তিনিকেতন, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ। 

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer