ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার সময় এক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাতে দারুস সালাম থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে আসামি করে এ মামলা হয়। এতে বাদি হয়েছেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক। তিনি ওই এলাকার সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে। অবশ্য ওই ঘটনায় এর আগে দারুস সালাম থানা পুলিশ বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।
মামলার আসামিরা হলেন- দারুস সালাম থানা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মো. ইসলাম, থানা ছাত্রলীগের নাবিল খান, থানা সেচ্ছাসেবক লীগের মো. বাদল, ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. সোহেল, দারুস সালাম থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রাজন, সেচ্ছাসেবক লীগের জুয়েল, শেখ ফারুক, শাহআলী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাকির ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত, শাহআলী থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রনি, শাহআলী থানা ছাত্রলীগের শাওন এবং একই থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল ইসলাম শুভ। বাদি এজাহারে আসামি হিসেবে ওই ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বলেন, অজ্ঞাতনামা আরও অনেক আসামি ঘটনার দিন রামদা, ছুরি, চাকু, রড হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
মামলার এজাহারে বাদি বলেছেন, ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন, ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, আ. স. ম রব, ড. রেজা কিবরিয়া, ঢাকা-১৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আবদুস সালাম ও তিনিসহ মিরপুরের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বের হচ্ছিলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের ১নং গেটের সামনে আকস্মিকভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নির্দেশ ও প্রত্যক্ষ মদদে ওই হামলা হয়। এতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ জনগণ গুরুতর আহত হন।
এজাহারে আহত ১১ জনের নাম উল্লেখ করে বলা হয় তারা এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।