ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও খ্যাতিমান লেখক-গবেষক ড. আতিউর রহমানের লেখা চারটি গ্রন্থের পাঠন্মোচন অনুষ্ঠান হয়েছে। শনিবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা দিশা পরিচালিত আলোঘর প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই চার গ্রন্থের পাঠন্মোচন করেন বিশিষ্টজনরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এবং সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
‘শেখ মুজিব বাংলাদেশের আরেক নাম’, ‘From Ashes to Prosperity’, ‘নিশিদিন ভরসা রাখিস’, ‘প্রান্তজনের স্বপক্ষে’ গ্রন্থ চারটির আলোচনায় ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, মাহফুজুর রহমান, তৌফিক আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
গ্রন্থসমূহের লেখক ড. আতিউর রহমান অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন , ‘১৯৭১ সাল। সে ছিল এক হিরন্ময় সময়। একই সঙ্গে আনন্দ ও বেদনার। মূলতঃ কৃষক সন্তানদের অংশগ্রহণে বাঙালির গৌরবদীপ্ত মুক্তিযুদ্ধে ঘটেছিল স্বপ্নের এক অসামান্য বিস্ফোরণ। কৃষকের, মজুরের তথা গণমানুষের ঐ মুক্তিসংগ্রামের প্রেরণার উৎস ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর আদর্শ।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী আতিউর রহমানকে পলিম্যাথ হিসেবে আখ্যায়িতক করেন। তিনি বলেন, আতিউর রমহানের এই বহুমূখী প্রতিভায় আমাদের সমাজ সংস্কৃতির উন্নয়ন হচ্ছে। অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘ যে চারটি গ্রন্থের পাঠন্মোচন হচ্ছে সবগুলোই গ্রন্থই আমাদের সমাজ সংস্কৃতি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের সহায়ক।’
‘শেখ মুজিব বাংলাদেশের আরেক নাম’ গ্রন্থের পাঠ আলোচনায় কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন , ‘আতিউর রহমান তার বহুমাত্রিক চেতনায় তিনি এই বইটি রচনা করেছেন। তার ঋদ্ধ গবেষণায় বইটি সমৃদ্ধ করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তুলে ধরেঝেন বইটিতে। সবার যা গ্রহণযোগ্যতা পাবে।’
অনুষ্ঠানে প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলোঘর প্রকাশনার প্রকাশক মো. সহিদ উল্লাহ। এতে উপস্থিত ছিলেন কবি মাকিদ হায়দার, অর্থমন্ত্রণালয় ব্যাংকিং ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার আতাউর রহমান,, কবি ইসমত শিল্পী , শিশু সাহিত্যিক দীপু মাহমুদসহ প্রমুখ।