ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৫ নং বালিয়া ইউনিয়নের বড়বালিয়া শিমুলতলী গ্রামে এক গৃহবঁধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শশুর বাড়ীর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৮ টায় নিজ ঘরে পা বাধা লাশ ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিজ ঘর থেকে গৃহবঁধু নুর নেহার(১৮) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্য সুত্রে জানা যায়,ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৬ নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মোলানী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ আলীর দ্বিতীয় মেয়ে নুর নেহার (১৮) এর সাথে পাশের ইউনিয়ন বড় বালিয়া শিমুলতলী গ্রামের বাসিন্দা দুলাল এর ছেলে রাজু ইসলাম বিশু(২২) এর সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শশুর বাড়ীর সদস্যদের সাথে ঝগড়া লাগতো গৃহবঁধু নুর নেহারের। নুর নেহারের উপর নির্যাতন করতো রাজুর পরিবার। একাধিক বার শালিস করে স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা।
নুর নেহারের বাবা আশরাফ আলী বলেন, আমার জামাই রাজু নেশা করে। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমার মেয়ে কয়েকদিন আগে আমার বাসায় মেহমান খেতে গেছিলো। রাজু আমার মেয়েকে বাসায় আসার জন্য চাপ দেয়। রাজু ও তার পরিবার আমার মেয়েকে দেখতে পারতো না। আমি এর সুষ্ট তদন্ত চাই দোষীদের বিচার চাই।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রাজু পেশায় ভ্যান চালক। সে অনেক সময় নেশা করতো। তাদের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। সাজু ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল বলেন, গৃহবঁধূ নুরনেহারের মরদের উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শশুরের শয়ন কক্ষে শ্বাস রোধ করে হত্যা করার ঘটনা হতে পারে তবে রিপোর্ট পাওয়া গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহুমাত্রিক.কম