ঢাকা : ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন সৌদি যুবরাজ।
রোববার প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে তিনি এসব ঘটনার বিষয়ে ‘চূড়ান্ত অবস্থান’ নেয়ার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সৌদি আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হরমুজ প্রণালীর দক্ষিণে ওমান উপসাগরে দুটি তেলবাহী ট্যাংকারের ওপর হামলা হয়। এসব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুবরাজ বলেন, ‘ইরানের সরকার তেহরান সফরকারী জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করে না। তিনি সেখানে থাকাকালেই দুটি ট্যাংকারে হামলা চালিয়ে তার প্রচেষ্টার জবাব দেয়া হল।
ওই জাহাজগুলোর মধ্যে একটি আবার জাপানি জাহাজ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না সৌদি আরব। কিন্তু নিজের জনগণ, সার্বভৌমত্ব ও মৌলিক স্বার্থ ক্ষুন্ন হলে যে কোনো হামলা মোকাবিলায় দ্বিধা করবে না।’
খাসোগি হত্যা নিয়ে হুশিয়ারি: সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
রোববার আশারক আল-আওসাত পত্রিকায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্ক করেন। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কন্স্যুলেটে খাসোগির হত্যাকাণ্ডকে খুবই বেদনাদায়ক বলে অভিহিত করেন যুবরাজ। খবর এনডিটিভির।
ইস্তাম্বুলের ওই ঘটনায় আঙ্কারার সঙ্গে রিয়াদের ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়। খাসোগি খুন হওয়ার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হতে শুরু করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে যুবরাজ বিন সালমান বলেন, ‘সৌদি আরব তুরস্কসহ সব মুসলিম দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। জামাল খাসোগি খুনের ঘটনায় সৌদি বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ নাম না নিয়ে যুবরাজ আরও বলেন, এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু কিছু দেশ ফায়দা তুলতে চাইছে। খাসোগি হত্যায় যুবরাজকেই দায়ী করা হচ্ছে। এ হত্যার দায় নিয়ে ভুল স্বীকার করেছে সৌদি আরব।
এদিকে, খাসোগির হত্যার বিচার চলমান থাকতেই প্রাণনাশের হুমকিতে থাকার কথা জানালেন আরও একটি সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী। লন্ডনে বসবাসরত কৌতুক অভিনেতা সৌদি নাগরিক ঘানেম আল-দোসারি বলেন, রিয়াদ কর্তৃপক্ষ তার পেছনে একটি বিশেষ হত্যাকারী দল নিয়োগ করেছে। যে দলটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে খাসোগিকে হত্যায় নিয়োগ করা হয়েছিল। দলটি এরই মধ্যে তার মোবাইল ফোনও হ্যাক করেছে।