ঢাকা : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ‘গোলাগুলিতে’ এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতের নাম মাহমুদুল হাসান (৩৭) বলে জানা গেছে। এ অভিযানে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেছে পুলিশ।বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, দুইটি ম্যাগাজিন, ১৮ রাউন্ড গুলি, ১৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১৫ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।নিহত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ডাকাত মাহমুদুল হাসান টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মৃত বাকের আহমদের ছেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, পুলিশের হাতে আটক রোহিঙ্গা ডাকাত মাহমুদুলের কাছ থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে শালবন রোহিঙ্গা শিবির সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে চলায় পুলিশ। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদোয়ান আহমদ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও মাহমুদুলের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের কনস্টেবল মিঠুন, শাহীন ও হাবিব আহত হন। একপর্যায়ে পুলিশও সরকারি সম্পদ এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করলে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি এবং গুরুতর আহত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ডাকাত মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, আহত মাহমুদুলকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, মানবপাচারসহ একাধিক মামলা রয়েছে।