ঢাকা : শতবর্ষ আগে আটলান্টিক মহাসাগরে বরফে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ এখন থেকে স্বল্প পরিসরে পরিদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ। মার্কিন কোম্পানি ওশেনগেটের `টাইটানিক সার্ভে এক্সপেডিশন` এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আরএমএস টাইটানিক ছিল ব্রিটিশ যাত্রীবাহী বৃহৎ আকৃতির জাহাজ। বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয় এই জাহাজ। ১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে বরফখন্ডের সাথে ধাক্কা খেয়ে ২ হাজার ২২৪জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় এটি। প্রাণ হারান দেড় হাজার মানুষ। বাস্তব এ ঘটনা নিয়ে ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করা হয় চলচ্চিত্র `টাইটানিক`।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিকের তলদেশে আছে বহু বছর ধরে। যা নিয়ে কৌতূহল আর গবেষণার শেষ নেই। এবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ এসেছে গুটিকয়েক রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষের কাছে। ২০১৮ সালের মে মাস থেকে সমুদ্রের তলদেশে থাকা এ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখার পরিকল্পনা করছিলো মার্কিন কোম্পানি ওশেনগেট।
আবহাওয়া বিবেচনায় এ অভিযান ২০১৯ সালের ২৬ জুন থেকে শুরু করার কথা রয়েছে। ১১ দিনের এ অভিযানের জন্য টিকিটের দাম পড়বে ১ লাখ ৫ হাজার ১২৯ ডলার। একটি জাহাজ অভিযানকারীদের কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড থেকে ডুবো জাহাজ `টাইটান` পর্যন্ত নিয়ে যাবে। পূর্বে `সাইক্লোপস টু` নামে পরিচিত ৬ সিট বিশিষ্ট জাহাজ টাইটান সমুদ্রের ৪ হাজার মিটার নিচ পর্যন্ত যেতে পারে। প্রতিটি অভিযানেই ভ্রমণকারীদের সাথে ১ জন করে প্রশিক্ষিত ক্রু থাকবেন।
১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা ছোট নৌকায় উত্তাল সাগরে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও অভিযানে থাকতে পারবে, শুধুমাত্র তাদেরই এ অভিযানে নেয়া হবে। এরআগে তাদের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যা হেলিকপ্টার আন্ডারওয়াটার এগ্রেস ট্রেনিং হিসেবে পরিচিত। গেলো ৩৪ বছর ধরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে রবার্ট বালার্ড ও তার গবেষক দল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ প্রতিনিয়ত ক্ষয় হচ্ছে। খুব শিগগিরই তা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। আরেক গবেষণা বলছে, আগামী ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এক্সট্রেমোফিল ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হয়ে শেষ হয়ে যাবে এই জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ।