ঢাকা : দেশের প্রভাবশালী দুই টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা আংশিক কমিয়ে দিতে সরবরাহকারীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এতে এই দুই অপারেটরের ইন্টারনেট সেবা সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসাইন বলেন, এই দুই কোম্পানি তাদের পাওনা পরিশোধ করেনি। অর্থ পরিশোধ না করা পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের কাছ থেকে নোটিশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।
নীরিক্ষা আপত্তি হিসেবে এ টাকা দাবি করে বিটিআরসি। অবশ্য দুই অপারেটরই এই পাওনা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে।
এর আগে একাধিকবার পাওনা আদায়ে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। গত এপ্রিলে জাতীয় সংসদে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এই পাওনার হিসাব তুলে ধরেন। ওই সময় তিনি চিঠি দেয়ার কথাও জানান।
ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ায় এই দুই কোম্পানির সেবা ব্যহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে তাদের কল ড্রপ বেড়ে যাবে এবং ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যাবে।
গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা। আর রবির কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, মে মাস শেষে দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটির কিছু বেশি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক প্রায় সাত কোটি ৪৮ লাখ। আর রবির গ্রাহক চার কোটি ৭৭ লাখ।
বিটিআরসি বৃহস্পতিবার লেভেল–৩ ক্যারিয়ার লিমিটেড, ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস, সামিট কমিউনিকেশন, আমরা টেকনোলজি ও ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবালকে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে।