Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

জিআই সনদ পাচ্ছে ফজলি আম এবং বাগদা চিংড়ি

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১২, ২০ অক্টোবর ২০২১

প্রিন্ট:

জিআই সনদ পাচ্ছে ফজলি আম এবং বাগদা চিংড়ি

উত্তরবঙ্গের আমের খ্যাতি সম্পর্কে জানে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও খ্যাতি আছে এসব আমের। তেমনি দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে চিংড়ি মাছ। এসব গুণের কারণে রসালো, আঁশবিহিন, ফজলি আম এবং বাগদা চিংড়ি খুব শিগগিরই ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জি-আই সনদ পেতে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার বিবিসির একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারের পেটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার মো. আবদুস সাত্তার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সনদ দেওয়ার কাজ শেষ হতে পারে।

তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পরে এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক যাচাই করা হয়েছে, দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। দুটি পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনো কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে।

ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। আর বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদপ্তর।

দেশে আমের মৌসুমে শেষের দিকে যেসব ফজলি আম বাজারে পাওয়া যায় তা ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও উৎপাদন করা হয়। আর এশিয়ার বেশ কিছু দেশ থেকেও লবণাক্ত পানির বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়।

কেন এ দুটি কৃষি পণ্য বাংলাদেশের জিআই সনদ পাবে সেটির বিস্তারিত ব্যাখায় মো. আবদুস সাত্তার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যে পণ্য একটি অঞ্চলের ঐতিহ্যের অংশ সেটির ক্ষেত্রে এই সনদ দেয়া হয়। আবহাওয়া, মাটি, পানি ও ভৌগলিক গঠনের ওপরে যেকোনো কৃষি পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ঘ্রাণ ও স্বাদ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সেটা হবে।

আরও পড়ুনঃ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বুধবার

বিস্তারিত ব্যাখায় তিনি আরও বলেন, যেমন এশিয়ার বেশ কিছু দেশে `ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প` বা বাগদা চিংড়ি পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয় সেটার বৈশিষ্ট্য অন্য কোনোটার সঙ্গে মিলবে না। অন্য কোথাও চাষ হলেও সেটার স্বাদ ও ঘ্রাণ মিলবে না।

আবদুস সাত্তার বলেন, আমরা দেখেছি যে জিআই সনদ পাওয়ার পর বিদেশের বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। জিআই ট্যাগ ব্র্যার্ন্ডিং হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ থেকে অনেকে বাগদা চিংড়ি রপ্তানি করছে। জিআই সনদ না থাকলে এর মূল্য কম হয়। ক্রেতারা এটিকে ব্র্যান্ডেড বলে মনে করে না।

তিনি বলেন, বিসিকের তথ্য অনুযায়ী জামদানি জিআই সনদ পাওয়ার পর রপ্তানি এবং এর মূল্য দুটোই বেড়েছে। জিআই সনদ পেলে বাংলাদেশ পণ্যটি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পাবে। অন্য কোন দেশ আর সেগুলোকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ৯টি পণ্য জিআই সনদ পয়েছে। সেগুলো হলো- ইলিশ মাছ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষীরশাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালিজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer