একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের ডিউটি অফিসার ডা. অভিজিৎ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর পেটের ব্যথা নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন রফিকুল ইসলাম। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার তার ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। তখন থেকেই সেখানে বক্ষব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
এর আগে, গত ৭ অক্টোবর পেটের ব্যথা নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন রফিকুল ইসলাম। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার তার ফুসফুসে পানি ধরা পড়ে। সে সময় রফিকুল ইসলামকে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে চাইলেও তাতে তিনি সায় দেননি।
তখন থেকেই সেখানে বক্ষব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে তাকে বিএসএমএমইউ থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হয় তাকে। সবশেষ গত সপ্তাহ থেকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয় এই অধ্যাপকের।
রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভাষাবিজ্ঞানী। তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করেন তিনি।
তার রচিত বিভিন্ন গ্রন্থে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের কথা উঠে এসেছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে প্রথম গ্রন্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাসের প্রথম গ্রন্থটিসহ প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন। এছাড়া ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্য পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৮ সালে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন । ২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাকে তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়।