Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৫ ১৪৩১, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি: শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী হোন

ড. মো. হুমায়ুন কবীর

প্রকাশিত: ১৩:৩৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

প্রিন্ট:

জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি: শেখ হাসিনা দীর্ঘজীবী হোন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে রাজনীতিবিদগণের জন্য কিছু উপমা, টাইটেল, বিশেষণ যেন তাদের নামের ও কর্মের সাথে একাকার। তেমনি উপমায় বিশেষণে বেগম মতিয়া চৌধুরীকে বলা হয় অগ্নিকন্যা। ইতিহাসের ঐতিহ্যবাহী ছাত্র নেতৃত্বকালীন সময়ে তিনি তাঁর বাগ্মিতার গুণের কারণে এরকম উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। আর নেতৃত্বের গুণাবলীর কারণে সেটি তাঁর প্রাপ্য ছিল। কিন্তু এসময়ে এসে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রকৃত অর্থেই পুরো বাংলাদেশের বর্তমান অগ্নিকন্যা। আজ তিনি যে শুধু অগ্নিকন্যা তাই নয়, তিনি একাধারে জননেত্রী, বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাদার অব হিউম্যানিটি, চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ, কৃষকরত্ন, দেশরত্ন, কালজয়ী বিশ্ব নেতার আসন অলংকৃত করে বাঙালি জাতিকে নিরন্তর গৌরবান্বিত করে চলেছেন তিনি তাঁর হিমালয় পর্বতসম বাবার মতো। সেই বাঙালির চিরায়ত অগ্নিনকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাই আমি আমার এ লেখার মাধ্যমে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ শুভ জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি।

আজকের জননেত্রী শেখ হাসিনার অগ্নিকন্যা হয়ে উঠার কিঞ্চিৎ আলোকপাত করার চেষ্টা করব। আজ ঐতিহাসিক ২৮ সেপ্টেম্বর। ১৯৪৭ সালের এইদিনে শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৪৭ সালটি ইতিহাসের পাতায় অন্যরকম গুরুত্ব বহন করে। কারণ সেবছর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল হিসেবে তখন ত্রুটিপূর্ণ দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়েছিল। তখনো এ বঙ্গ স্বাধীনতার আন্দোলনে উত্তাল। আর সেই স্বাধীনতা আন্দোলনের তৎকালীন রাজপথের অগ্র সেনানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের কোল আলোকিত করে জন্ম নেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার মতো অগ্নিকন্যা নেত্রীর জন্ম হয়েছিল বলেই ২৮ সেপ্টেম্বর দিনটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এখনকার বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার চুঙ্গিপাড়া গ্রাম। সেখানে বাস করতেন বিখ্যাত শেখ পরিবার। চারিদিকে অথৈ পানির কলধ্বনি। অজপাড়াগাঁ’র সেই পিছিয়ে পড়া টুঙ্গিপাড়া গ্রামটি মধুমতি ও বাইগার নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি উর্বর ভূমি। সেই উর্বর ভূমির সম্পূর্ণ গ্রামীণ পরিবেশে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন। জন্মের পর তিনি ধনীর কোন দুলালীর মত বড় হননি। বাবা রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রায়ই সরকারের রোষানলে পড়ে জেলে থাকতেন। তাছাড়া জনমামুষের পক্ষের নেতৃত্বের জন্য তাঁকে সারাদেশের তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের এপার বাংলা ওপার বাংলা চষে বেড়াতে হয়েছে। তিনি মানুষের দাবী মেটানোর জন্য প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ছুটে গিয়েছেন যখনই সময় পেয়েছেন।

সেজন্য সেখানকার কাদামাখা, মাটি মাখা, নদীবিধৌত, ছায়া সুনিবিড় গ্রামীণ পরিবেশে শেখ হাসিনার সোনালী শৈশবকাল কেটেছে। তিনি সেখানে তাঁর অন্য ভাই-বোন ও খেলার সাথীদের নিয়ে কখনো আনমনে খেলায় মশগুল হতেন কখনোবা মাছ ধরায় লেগে যেতেন। তাঁর জীবনের এ অংশটি নিয়ে তিনি সর্বদাই গর্ববোধ করেন। সেজন্য প্রায়শই যখন কোন স্থানে সুযোগ পান তখন স্মৃতিচারণে তিনি তাঁর সোনালী অতীতে ফিরে যান, বর্ণনা করতে গিয়ে হয়ে পড়েন আবেগাপ্লুত ও নস্টালজিক।

সেসময় তিনি গ্রামে থাকা তাঁর কোন দরিদ্র প্রতিবেশীর আনন্দে যেমন শরিক হয়ে আনন্দিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি তাদের কোন দুঃখে ব্যথিত হয়ে কেঁদে উঠেছেন। ঠিক যেন বাবার স্বভাবটিই পেয়েছেন তিনি। আর চোখের সামনে দেখেছেন তাঁর উদারনৈতিক বাবা-মা কেমন করে দুঃখী মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। এভাবেই পারিবারিকভাবেই তিনি সাধারণ ও গরীব-দুঃখী মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছেন। সেই অজপাড়াগাঁ থেকে যখন বাবার সাথে ঢাকায় চলে এলেন তখনো সবসময়ের সঙ্গী হলো তাঁর মানুষের জন্য ভালোবাসা। আর বাবার বড় মেয়ে হিসেবে তিনি তাঁর বাবার সকল রাজনৈতিক উত্থান-পতন খুব কাছে থেকে লক্ষ্য করেছেন। তাই তিনি ছাত্র জীবনেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে।

কারণ তিনি বাবার কাছ থেকে বাবাকে দেখে এ শিক্ষা পেয়েছিলেন যে, রাজনীতি ছাড়াও মানুষকে ভালোবাসা যাবে ঠিকই কিন্তু বেশি মানুষের জন্য কিছু করতে হলে অবশ্যই রাজনীতি করতে হবে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে। যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রথম বিপ্লব হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হলো, তখনো শেখ হাসিনা পিতৃস্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন। তারপর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ গঠনের যে দ্বিতীয় বিপ্লব চলছিল সেখানেও শেখ হাসিনা বাবার পাশে একজন সুপরামর্শক হিসেবে ছিলেন।

তিনি দেশের জাতির পিতা, স্বাধীনতার স্থপতি কিংবদন্তীসম রাষ্ট্রপতির মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও কোনদিন কোন স্থানে কোন ধরনের সুযোগ-সুবিধা কিংবা ক্ষমতার ব্যবহার করেননি। আর অপব্যবহারের তো প্রশ্নেই উঠে না। বরং সারাক্ষণই দেশের কল্যাণ ভাবনায় চিন্তা করেছেন কেমনে বাাবকে আরো সফল হওয়ার সুপরামর্শ দেওয়া যায়। সেভাবেই তিনি চলছিলেন তাঁর স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ও সন্তানদের নিয়ে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ডাকে যখন অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের জন্য দ্বিতীয় বিপ্লব সফল হতে যাচ্ছিল, সদ্যস্বাধীন সবদিক থেকে ভঙ্গুর একটি দেশের উন্নয়ন যখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই ঘটল ইতিহাসের সেই ঘৃণ্য কলঙ্কজনক অধ্যায়ের।

আমরা জানি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নতুন আরেক মীর জ্ফারের কাহিনী লিখতে হলো ইতিহাসবিদদের। সেখানে সৃষ্টি হলো ইতিহাসের আরেক খলনায়ক খন্দকার মোশতাক আহমদের। সেদিন সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ স্বামীর উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাইরে অর্থাৎ জার্মানিতে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। এখানে সৌভাগ্য যেটা বলা হলো সেটা পুরোটাই দেশবাসির জন্য, আর দুর্ভাগ্য হলো জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের জন্য। কারণ তিনি পরিবারের সকল স্বজনকে হারিয়ে শুধুমাত্র দেশের মানুষের ভালোবাসায় আজ বেঁচে রয়েছেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর বিদেশ থেকে অনেকবার তিনি তাঁর বাবার নেতৃত্বে স্বাধীন করা এ বাংলার মাটিতে ফিরে আসতে চাইলেও তখনকার স্বৈরশাসকেরা তাঁকে দেশে ফিরতে দেয়নি।

অবশেষে দেশের মানুষের চরম টানে এবং পরম ভালোবাসায় ১৯৮১ সালের ১৭ মে ফিরে এসেছিলেন। ইতিহাসে সে ফিরে আসা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বলে হৃদয়ে গ্রোথিত রয়েছে বাঙালির। কারণ ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যেমন তিনি পৃথিবীর আলো-বাতাসের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে বাংলার আকাশ-বাতাসকে জানান দিচ্ছিলেন এমন অগ্নিকন্যার আগমনের কথা, ঠিক তেমনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে তারিখে সেই বাঙালির ভাগ্যাকাশে আরেক নতুন অগ্নিকন্যার আগমন ঘটেছিল। তার আগে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামীলীগের হাল ধরার জন্য তারই সুযোগ্য কন্যা হিসেবে শেখ হাসিনাকে দলটির নেতৃত্ব অর্পন করা হয়েছিল। তাই ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে ঢাকার ইডেন গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত দলীয় এক কাউন্সিলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী নির্বাচন করা হয়।

তখন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত দ্বিতীয় বিপ্লবের সাফল্যের জন্য কাজ শুরু করেন। সে সময়টা তাঁর জন্য মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। পুরো সময়টাতেই তাঁকে অনেক উত্থান-পতন ও চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। দলের ভিতরেও তাঁকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের আরেকটি কঠিন সময় পার করতে হয়েছে ২০০৭ সালের সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। তখন তাঁকে নতুন করে বাঙালির ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে আরো প্রায় বছর খানেক জেল খাটতে হয়েছে। তাঁকে একদিকে যেমন সহ্য করতে হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দাম্ভিকতা, অত্যাচার, হুমকি, নির্যাতন, হামলা ইত্যাদি। অপরদিকে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের মাঠে হেরে যাওয়া প্রতিশোধপ্রবণ একদল স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদর আল শামসদের যুদ্ধাপরাধী প্রেতাত্মাতুল্য ঘৃণ্য নরপশু কর্তৃক দেশকে ব্রিটিশ কিংবা পশ্চিম পাকিস্তানের চাইতেও বেশি করে শোষণের মাধ্যমে লুণ্ঠন উৎসবে মেতে উঠা।

এমনিতেই বিশ্বে যেসব নেতৃত্বের উপর নিরাপত্তা হুমকি রয়েছে শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে অন্যতম। কাজেই স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু, ১৯৮১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় চার দশক সক্রিয় গণমানুষের জন্য সরাসরি রাজনৈতিক জীবনে তিনি এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ বার হত্যাকাণ্ড আক্রমণের স্বীকারে পরিণত হয়েছেন। তারমধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহতম ছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সেদিনতো রীতিমত আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটাতে চেয়েছিল ঘাতকেরা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সেসব প্রত্যেকটি প্রচেষ্টাতেই ছিল কখনো সরাসরি আবার কখনো নেপথ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা।

কথায় আছে, ‘রাখে আল্লাহ মারে কে’। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও তাই এখন পর্যন্ত দেশবাসীর ভালোবাসা ও মহান আল্লাহ-তায়ালার অশেষ রহমতে সেই সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বেঁচে আছেন। আর বেঁচে আছেন বলেই এখন তিনি বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৃতীয় বিপ্লব শুরু করেছেন। তিনি অগ্নিকন্যার মতো করে মূর্তি ধারণ করে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে দেশের মাটিতেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করেছেন। করে চলেছেন বিষধর সাপের মতো ফণা তোলা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। সেখানেই থেমে না থেকে দেশকে উন্নতির চূড়ায় তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এখন দেশ-বিদেশে তিনিও যেমন তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মান, পুরস্কার, উপাধি পাচ্ছেন, তেমনিভাবে দেশকেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।

তিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির ঘৃণ্য অভিধাপ্রাপ্ত নিম্ন আয়ের দেশের ক্তাার থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের ক্তাারে ইতোমধ্যে নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে সামনে তাঁর ২০২১, ২০৩০, ২০৪১ এবং ২১০০ সাল পর্যন্ত যে বিভিন্ন মেয়াদী মিশন ভিশন ডেল্টাপ্লান রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সোনার বাংলা তৈরী হতে পারবে। যখনই দেশ গণতন্ত্রচ্যুত হয়েছে তখনই শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব সেখানে বাধা হয়ে দেয়ালের মতো দাঁড়িয়ে গেছে। সর্বশেষ তিনি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে ছেড়েছেনই। কাজেই আজকে শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনে তাঁকে জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট এই দোয়াই করি যাতে তিনি তাঁকে আরো দীর্ঘজীবী করেন এবং কর্মক্ষম রাখেন। তাহলে শেষ বিচারে দিনশেষে দেশেরই মঙ্গল হবে। কারণ ব্যক্তিগত লোভ-লালসার উর্ধ্বে উঠে, জীবনের মায়াকে তুচ্ছজ্ঞান করে যেভাবে তিনি দেশের জন্য কাজ করে চলেছেন, ইতিহাসে এমন নেতা পাওয়া দুষ্কর।

আমরা তাই তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি। সারাবিশ্বে বয়ে চলা করোনা মহামারি যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও উন্নত রাষ্ট্রসমূহও সামাল দিতে পারছেনা। সেসব দেশের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙ্গে পড়েছে এবং মানুষের জীবন রক্ষায় হিমশিম খেয়ে চলেছে সরকারগুলো। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধারে করোনা, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান এবং ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতির সকল সূচক চলমান রেখেছেন। এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন বলেই সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালটি মুজিববর্ষ। অনেক আশা ছিল এবছরে দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো গুরুত্বপর্ণ ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করা হবে। কিন্তু মহামারি করোনার জন্য সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু অনাড়ম্বর হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল শেখ হাসিনার জন্মদিনে তাই ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা রইল।

লেখক: ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

email: [email protected] 

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer