আগামী ১৭ অক্টোবর (১ কার্তিক) আধ্যাত্মিক সাধক বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩১ তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়িতে শত শত ভক্ত-অনুসারীরা দূর-দুরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন। কালি নদীর পাড় ঘেঁষে লালন মাঠে প্রায় ৪০টি অস্থায়ী থাকার জায়গা ও কয়েকটি দোকান বসেছে।
তবে তিরোধান দিবস উপলক্ষে এবার লালন মেলা হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কুষ্টিয়ার জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সুজন রহমান।
মরমি সাধক ফকির লালন শাহ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া গ্রামে ১৮৯০ সালের ১ কার্তিক দেহ রাখেন। এখানে পরবর্তীতে লালন মেলার আয়োজন শুরু করে লালন একাডেমি।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ফকির লালন শাহের ১৩১ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে শত শত ভক্ত-অনুসারীরা দূরদূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন লালন শাহ`র আখড়াবাড়িতে। কালি নদীর পাড় ঘেঁষে লালন মাঠে প্রায় ৪০টি অস্থায়ী থাকা-বসার জায়গা ও কয়েকটি দোকান বসেছে। কেউ সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে গান গাইছেন, কেউ রান্না করছেন আবার অনেকেই গাঁজা সেবন করছেন। তারা ঢাকা, চাঁদপুর, মাদারীপুর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা জড়ো হচ্ছেন ছেঁউড়িয়ায়।