সৌরজগতে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য আরও একটি গ্রহের খোঁজ বহুদিন ধরেই চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকী নিজেদের ছায়াপথ (মিল্কিওয়ে) ছেড়ে বাইরের ছায়াপথেও নজর রাখছেন তাঁরা। এভাবেই একটি মহা-পৃথিবী বা সুপার-আর্থ আবিষ্কার করেছেন তাঁরা, তার রেড ডোয়ার্ফ তারার ‘বাসযোগ্য’ এলাকায় অবস্থান করছে। খবর আজকাল`র।
গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে রস ৫০৮ বি। এটি আবিষ্কৃত হয়েছে সুবারু স্ট্র্যাটেজিক প্রোগ্রামের দ্বারা। সুবারু টেলিস্কোপের মাধ্যমে এখন ছায়াপথের রেড ডোয়ার্ফদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। মিল্কিওয়ের তারাদের তিন-চতুর্থাংশই হল এই ধরনের তারা। আমাদের সৌরজগতের কাছাকাছিও রয়েছে বেশ কিছু।
বাসযোগ্য কেন বলা হচ্ছে? রেড ডোয়ার্ফ থেকে সুপার-আর্থটির যা দূরত্ব তাতে তার পৃষ্ঠে তরল অবস্থায় জল থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাণ সঞ্চারের জন্য উপযুক্ত পরিবেশও থাকতে পারে। কারণ জায়গাটা না খুব ঠান্ডা না খুব গরম।
পৃথিবী থেকে রস ৫০০ বি-র দূরত্ব ৩৭ আলোকবর্ষ। যে তারাকে প্রদক্ষিণ করছে সেটির ভর সূর্যের ভরের পাঁচভাগের একভাগ। আবার আমাদের পৃথিবীর চারগুণ ভর ওই সুপার-আর্থের। সূর্য এবং পৃথিবীর দূরত্বের ০.০৫ গুণ ওই তারা-গ্রহের দূরত্ব। বাসযোগ্য জোনের ভেতরের ধারটিতে রয়েছে গ্রহটি।
তবে একটাই সমস্যা, ওই সুপার-আর্থ সারাক্ষণই বাসযোগ্য অবস্থানে থাকে না। নির্দিষ্ট সময় অন্তর আসে আবার সরে যায়। তা সত্ত্বেও গ্রহটির উপরিতলে জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের বৈজ্ঞানিক গবেষণার নতুন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।